অহংকারের পরিণতি ও পরিচয় এবং তার ২৮টি আলামত

অহংকার এক মারাত্মক মানসিক ব্যাধি ও নিকৃষ্ট স্বভাব। এটি ইসলামের দৃষ্টিতে কবিরা গুনাহ এবং জাহান্নামে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ◆ আল্লাহ তাআলা বলেন, وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ “অহংকার বশতঃ তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক-অহংকারীকে …

Read more

Share:

আল্লাহর পথে দাওয়াতের ক্ষেত্রে দাঈর আচরণ ও ভাষার ব্যবহার

দাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের গালাগালি, অহংকার, সত্য প্রত্যাখ্যান ও অন্যায় আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ইচ্ছেমত ধোলায় দেন আর মনের ঝাল মিটান তাই না? হ্যাঁ, এতে মনের ঝাল মিটবে ও রাগ প্রশমিত হবে..কিন্তু দাওয়াতি কাজ হবে না। এটা দাওয়াতের পদ্ধতি নয়। ‘শব্দ বোমা’ দ্বারা মানুষের অন্তরকে ক্ষতবিক্ষত করা যায় কিন্তু কখনো তা জয় করা যায় না। তাই …

Read more

Share:

দাওয়াতি ক্ষেত্রে উগ্রতা ও কঠোরতা নয় প্রয়োজন নরম ভাষা ও সুন্দর ব্যবহার

ভূমিকা: যে আল্লাহর পথে আহ্বান করে তার চেয়ে উত্তম কথা আর কারও নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ ‎ “তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার আছে যে, আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম বা আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত?” [সূরা ফুসসিলাত/হা-মী-ম …

Read more

Share:

বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শিক্ষা

বিশুদ্ধ ভাষণ ও সুস্পষ্ট উচ্চারণ মানুষের ব্যক্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে। ইসলাম মাতৃভাষাকে শুদ্ধভাবে চর্চা করার শিক্ষা প্রদান করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষা চর্চা বা বিশুদ্ধভাবে কথা বলা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অন্যতম শিক্ষা। শিশু মুহাম্মদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্মের পর বিশুদ্ধ ভাষা ও শুদ্ধ উচ্চারণ শেখার লক্ষ্যে বিশুদ্ধ ভাষাভাষী বানু সাআদ গোত্রের হালিমা সাদিয়ার …

Read more

Share:

মানুষকে শয়তান বা ইবলিশ বলার বিধান

প্রশ্ন: অনেকে ছোট বাচ্চা দুষ্টুমি করলে তাকে বলে, শয়তানি কেন করছ? আবার অনেক সময় একজন আরেকজনকে শয়তান বা ইবলিশ বলে সম্বোধন করে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা কি ঠিক?▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: শয়তানি করা মানে, দুর্বৃত্ততা, দুষ্টামি করা, ক্ষতি করা ইত্যাদি। কোন মানুষ যখন কারো সাথে দুর্বৃত্ততাপনা করে বা দুষ্টমি করে বা করো ক্ষতি সাধন করে তখন শয়তানি করা …

Read more

Share:

কেমন আছেন বনাম আল্লাহ আপনাকে কেমন রেখেছেন এবং ভালো আছি বনাম আল্লাহ আমাকে ভালো রেখেছেন বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসন

বর্তমানে কাউকে কাউকে বলতে শুনা যাচ্ছে যে, “কেমন আছেন/কেমন আছো” বলা যাবে না এবং এর উত্তরে “ভালো আছি” বলা যাবে না। বরং বলতে হবে যে, “আল্লাহ আপনাকে কেমন রেখেছেন?” আর উত্তরে বলতে হবে, “আল্লাহ আমাকে ভালো রেখেছেন।” “কেমন আছেন” বলা নাকি নাকি আশআরি আকিদা (!), আবার কেউ বলে, এতে নাকি মানুষ আল্লাহর সমকক্ষ হয়ে যায়! …

Read more

Share:

মানুষকে গাধা, কুকুর ইত্যাদি বলে সম্বোধনের ব্যাপারে সাবধান বাণী

◈ ১. আলা ইবনুল মুসাইয়েব তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তার পিতা (মুসাইয়েব) বলেছেন, لاتقل لصاحبك يا حمار يا كلب يا خنزير فيقول لك يوم القيامة : أتراني خلقت كلبا أو حمارا أو خنزيرا “তোমার সঙ্গী-সাথীকে হে গাধা, হে কুকুর, ওহে শুয়োর বলে সম্বোধন করবে না। অন্যথায় কিয়ামতের দিন সে তোমাকে বলবে, “তুমি কি মনে …

Read more

Share:

মারহাবা কি ইসলামিক পরিভাষা

মারহাবা ♡ স্বাগতম ♡ ওয়েলকাম ♡ ▬▬▬▬◆♡◆ ▬▬▬▬ প্রশ্ন: মারহাবা কি ইসলামিক পরিভাষা? এটা কি বলা যাবে? ইসলামে মানুষকে স্বাগত জানানোর বিধান কি? উত্তর: মারহাবা শব্দের অর্থ: স্বাগতম, খোশ আমদেদ, ওয়েলকাম। এটি সাধারণত: আরবি ভাষীগণ কারও আগমন উপলক্ষে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য ব্যবহার করে থাকে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু আরবি ভাষী ছিলেন সেহেতু …

Read more

Share:

ঘুমের আদব, পানাহারের আদব এবং কাপড় ধোয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা

প্রশ্ন: আমার এক নানু বললেন যে, কোল বালিশ নিয়ে ঘুমানো নাকি ঠিক না; গুনাহ। বোতল দিয়ে পানি পান করা গুনাহ। কাপড় তিন বার ধোয়া, বিসমিল্লাহ বলা নাকি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত। এ কথাগুলো কি সঠিক কথা? উত্তর: কাপড় ধোয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত-এটা ছাড়া আপনার নানুর অন্যান্য কথাগুলো কেবলই অনুমান নির্ভর। ইসলামী …

Read more

Share:

আমার পিতামাতা আপনার জন্য কোরবান হোক এ কথা বলা কি বৈধ

প্রশ্ন: অনেক হাদিসে দেখা যায়, কাউকে সম্মান করে বলে যে, “আমার পিতামাতা আপনার জন্য কোরবান হোক” শরিয়তের দৃষ্টিতে এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? উত্তর: বহু সংখ্যক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সাহাবায়ে কেরাম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উদ্দেশ্য করে বলতেন, فَدَاكَ أَبِي وَأُمِّي يارسول الله “হে আল্লার রসুল, আপনার জন্য আমার পিতা মাতা উৎসর্গ/কোরবান হয়ে যাক।” এ মর্মে …

Read more

Share: