কুরআন মাজীদকে মাটিতে রাখার বিধান কী

প্রশ্ন: কুরআন মাজীদকে অল্প বা দীর্ঘ সময়ের জন্য মাটিতে রাখার কী হুকুম? তা কি মাটি থেকে অন্তত এক বিঘত উঁচুতে রাখা আবশ্যক? উত্তর: وضعه على محل مرتفع أفضل مثل الكرسي أو الرف في الجدار ونحو ذلك مما يكون مرفوعا به عن الأرض، وإن وضعه على الأرض للحاجة لا لقصد الامتهان على أرض طاهرة بسبب الحاجة …

Read more

Share:

স্বামীর নাম ধরে ডাকা কি জায়েজ

উত্তর: বিষয়টি সামাজিক রীতিনীতি, ভদ্রতা এবং প্রচলনের উপর নির্ভরশীল। যে সমাজে এটিকে অসম্মানজনক মনে করা হয় না সেখানে তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু যেখানে এটিকে সম্মানহানি ও বেয়াদবি মনে করা হয় সেখানে তা করা উচিত নয়। আমাদের ভারত উপমহাদেশে সাধারণত স্বামীর নাম ধরে ডাকাকে অসম্মানজনক ও বেয়াদবি মনে করা হয়। সুতরাং এখানে স্বামীকে নাম ধরে ডাকা …

Read more

Share:

সহজ-সরল ও কোমল স্বভাবের মানুষের জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম এবং নম্রতা ও কঠোরতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কেমন হওয়া উচিৎ

প্রশ্ন: নিম্নের হাদিসটির ভাবার্থ কী এবং হাদিসটি কি সহিহ? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সহজ-সরল ও কোমল হবে, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জাহান্নামকে হারাম করে দেবেন।” [সহিহ আল-জামি: ৬৪৮৪] এবং নম্রতা ও কঠোরতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কেমন হওয়া উচিৎ? উত্তর: নিম্নে সংক্ষেপে উপরোক্ত প্রশ্নদ্বয়ের উত্তর দেওয়া হলো: প্রবীণ সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে …

Read more

Share:

মানুষের জীবনে তার নামের প্রভাব পড়ে একথা কতটুকু সত্য

“মানুষের জীবনে তার নামের প্রভাব পড়ে।” কতটুকু সত্যি? ইসলামের দৃষ্টিতে মানব জীবনে ইতিবাচ শব্দ প্রয়োগের গুরুত্ব। প্রশ্ন: ‘মানুষের জীবনে তার নামের প্রভাব পড়ে’ এ কথা কি সত্য? উত্তর: প্রকৃতপক্ষে মানুষ কেমন হবে, সৌভাগ্যবান নাকি দুর্ভাগা, তার আচার-আচরণ ও কার্যক্রম কী হবে ইত্যাদি সব কিছুই আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির পূর্বেই তার তকদিরে লিপিবদ্ধ করেছেন। সে আলোকেই সব …

Read more

Share:

অহংকারের পরিণতি ও পরিচয় এবং তার ২৮টি আলামত

অহংকার এক মারাত্মক মানসিক ব্যাধি ও নিকৃষ্ট স্বভাব। এটি ইসলামের দৃষ্টিতে কবিরা গুনাহ এবং জাহান্নামে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ◆ আল্লাহ তাআলা বলেন, وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ “অহংকার বশতঃ তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক-অহংকারীকে …

Read more

Share:

আল্লাহর পথে দাওয়াতের ক্ষেত্রে দাঈর আচরণ ও ভাষার ব্যবহার

দাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের গালাগালি, অহংকার, সত্য প্রত্যাখ্যান ও অন্যায় আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ইচ্ছেমত ধোলায় দেন আর মনের ঝাল মিটান তাই না? হ্যাঁ, এতে মনের ঝাল মিটবে ও রাগ প্রশমিত হবে..কিন্তু দাওয়াতি কাজ হবে না। এটা দাওয়াতের পদ্ধতি নয়। ‘শব্দ বোমা’ দ্বারা মানুষের অন্তরকে ক্ষতবিক্ষত করা যায় কিন্তু কখনো তা জয় করা যায় না। তাই …

Read more

Share:

দাওয়াতি ক্ষেত্রে উগ্রতা ও কঠোরতা নয় প্রয়োজন নরম ভাষা ও সুন্দর ব্যবহার

ভূমিকা: যে আল্লাহর পথে আহ্বান করে তার চেয়ে উত্তম কথা আর কারও নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ ‎ “তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার আছে যে, আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম বা আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত?” [সূরা ফুসসিলাত/হা-মী-ম …

Read more

Share:

বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শিক্ষা

বিশুদ্ধ ভাষণ ও সুস্পষ্ট উচ্চারণ মানুষের ব্যক্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে। ইসলাম মাতৃভাষাকে শুদ্ধভাবে চর্চা করার শিক্ষা প্রদান করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষা চর্চা বা বিশুদ্ধভাবে কথা বলা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অন্যতম শিক্ষা। শিশু মুহাম্মদকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্মের পর বিশুদ্ধ ভাষা ও শুদ্ধ উচ্চারণ শেখার লক্ষ্যে বিশুদ্ধ ভাষাভাষী বানু সাআদ গোত্রের হালিমা সাদিয়ার …

Read more

Share:

মানুষকে শয়তান বা ইবলিশ বলার বিধান

প্রশ্ন: অনেকে ছোট বাচ্চা দুষ্টুমি করলে তাকে বলে, শয়তানি কেন করছ? আবার অনেক সময় একজন আরেকজনকে শয়তান বা ইবলিশ বলে সম্বোধন করে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা কি ঠিক?▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: শয়তানি করা মানে, দুর্বৃত্ততা, দুষ্টামি করা, ক্ষতি করা ইত্যাদি। কোন মানুষ যখন কারো সাথে দুর্বৃত্ততাপনা করে বা দুষ্টমি করে বা করো ক্ষতি সাধন করে তখন শয়তানি করা …

Read more

Share:

কেমন আছেন বনাম আল্লাহ আপনাকে কেমন রেখেছেন এবং ভালো আছি বনাম আল্লাহ আমাকে ভালো রেখেছেন বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসন

বর্তমানে কাউকে কাউকে বলতে শুনা যাচ্ছে যে, “কেমন আছেন/কেমন আছো” বলা যাবে না এবং এর উত্তরে “ভালো আছি” বলা যাবে না। বরং বলতে হবে যে, “আল্লাহ আপনাকে কেমন রেখেছেন?” আর উত্তরে বলতে হবে, “আল্লাহ আমাকে ভালো রেখেছেন।” “কেমন আছেন” বলা নাকি নাকি আশআরি আকিদা (!), আবার কেউ বলে, এতে নাকি মানুষ আল্লাহর সমকক্ষ হয়ে যায়! …

Read more

Share: