সূরা তাকাসুর এর ফযিলত

প্রশ্ন: “সূরা তাকাসুর পাঠ করলে এক হাজার আয়াত পাঠের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে” এ হাদিসটি কি সহিহ?

উত্তর:

‘সূরা তাকাসুর পাঠ করলে এক হাজার আয়াত পাঠের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে’ এ ব্যাপারে একটি হাদিসটি প্রসিদ্ধ। কিন্তু সনদগত ভাবে সেটি জয়ীফ বা দুর্বল।
হাদিসটি নিম্নরূপ:
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা সাহাবিদের লক্ষ্য করে বললেন:
ألا يستطيع أحدكم أن يقرأ ألف آية كل يوم ؟ قالوا: ومن يستطيع ذلك ؟ قال: أما يستطيع أحدكم أن يقرأ ألهاكم التكاثر
“তোমাদের মধ্যে কারও এমন ক্ষমতা নেই যে, এক হাজার আয়াত পাঠ করবে?
সাহাবিগণ বললেন: এটা করার ক্ষমতা কার বা আছে!
তিনি বললেন: তোমাদের কেউ কি সূরা তাকাসুর পাঠ করতে পারবে না?” (মুসতাদরাকে হাকিম, মিশকাতুল মাসাবীহ)

এ হাসিটিকে শাইখ আলবানি রহ. জঈফ (দুর্বল) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। উৎস: যঈফুত তারগিব হা/৮৯১। তিনি আরও বলেন:
أخرجه الحاكم ولم يصححه
“এ হাদিসটি ইমাম হাকেম তার মুসতাদরাক কিতাবে বর্ণনা করেছেন কিন্তু তা সহিহ বলেন নি।”

◍◍ এ সূরার ফযিলতে আরেকটি হাদিস বলা হয়। তা হল:
من قرأ سورة التكاثر فكأنما أدى الشكر
“যে ব্যক্তি সূরা তাকাসুর পাঠ করল সে যেন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল।” এ হাদিসের
ব্যাপারে শাইখ বিন বাজ রহ. বলেন: ليس له أصل “এর কোন ভিত্তি নাই।” অর্থাৎ এটি বানোয়াট হাদিস।
তবে এই সুরা অন্যতম শিক্ষণীয় দিক হল, যারা পার্থিব ধন-সম্পদ এবং প্রাচুর্যের মোহে আখিরাতকে ভুলে যায় তাদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে। সুতরাং সময় থাকতে তাদের সতর্ক হওয়া অপরিহার্য।
————————–
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।