বিশ্বকাপ ফুটবল/ক্রিকেট খেলা দেখা জায়েজ নয়

প্রশ্ন: খেলা দেখার হুকুম কি? যেমন বিশ্বকাপ ও অন্যান্য খেলা-ধুলা।
উত্তর:
“مباريات كرة القدم التي على مال أو نحوه من جوائز حرام ؛ لكون ذلك قمارا ؛ لأنه لا يجوز أخذ السَّبَق وهو العوض إلا فيما أذن فيه الشرع ، وهو المسابقة على الخيل والإبل والرماية ، وعلى هذا فحضور المباريات حرام ، ومشاهدتها كذلك ، لمن علم أنها على عوض ؛ لأن في حضوره لها إقرارا لها
أما إذا كانت المباراة على غير عوض ، ولم تشغل عما أوجب الله من الصلاة وغيرها ، ولم تشتمل على محظور : ككشف العورات ، أو اختلاط النساء بالرجال ، أو وجود آلات لهو – فلا حرج فيها ولا في مشاهدتها
“فتاوى اللجنة الدائمة” (15/238)-
‘ফুটবল ম্যাচ’ যেগুলো টাকা অথবা এমন পুরষ্কারের জন্য খেলা হয় – এগুলো নাজায়েজ, কারণ এটা হচ্ছে জুয়া। (টাকার বিনিময়ে ফুটবল/ক্রিকেট খেলা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত।) কারণ ইসলাম অনুমতি দেয়নি, এমন খেলা ছাড়া অন্য যেকোনো খেলার জন্যে পুরষ্কার নেওয়া জায়েজ নয়। আর ইসলাম অনুমতি দিয়েছে পুরষ্কার নেওয়ার এমন খেলা হচ্ছে, ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা, উটের দৌড় প্রতিযোগিতা এবং তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা। (এই তিনটা খেলাধুলা ছাড়া অন্য যেকোনো খেলার জন্য পুরষ্কার নেওয়া হারাম, কেউ পুরষ্কার নিলে সেটা জুয়া বলে গণ্য হবে)।
এই নীতির উপরে ভিত্তি করে বলা যায়, এই খেলাগুলোতে অংশগ্রহণ করা হারাম এবং যে ব্যক্তি এটা জানে যে, এই খেলাগুলো পুরষ্কারের জন্য খেলা হয়, তার জন্য জায়েজ নয় যে সে এই খেলাগুলো দেখবে। কারণ, এই খেলাতে অংশগ্রহণ করা মানে এইগুলোকে সমর্থন করা। কিন্তু এ খেলা যদি পুরষ্কারের জন্য খেলা না হয় এবং কাউকে আল্লাহর হুকুম যেমন সালাত ও অন্য ইবাদত থেকে অমনোযোগী না করে এবং এইগুলোর সাথে কোন প্রকার হারাম কাজ যেমন: আওরাহ/সতর প্রকাশ করা, নারী-পুরুষ ফ্রি মিক্সিং, গান-বাজনা ইত্যাদি জড়িত না থাকে তাহলে এমন খেলায় অংশগ্রহণ করতে বা এমন খেলা দেখতে কোন সমস্যা নেই।
নিশ্চয়ই একমাত্র আল্লাহই হচ্ছেন সমস্ত ক্ষমতার উৎস। আল্লাহ নবী মোহাম্মাদ, তাঁর পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবিদের প্রতি শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুন।
[ফতওয়া আল-লাজনাহ আদ-দাইয়িমাহ: ১৫/২৩৮। সৌদি স্থায়ী ফতওয়া কমিটির ফতওয়া নম্বর: ১৮৯৫১]
স্থায়ী ফতওয়া কমিটির সদস্যবৃন্দ:
১. শায়খ বাকর আবু জায়েদ রাহিমাহুল্লাহ,
২. শায়খ সালেহ আল-ফওজান হাফিজাহুল্লাহ,
৩. শায়খ আব্দুল আজিজ ইবনে আবদুল্লাহ আলে-শায়খ হাফিজাহুল্লাহ,
৫. ফতোয়া কমিটির চেয়ারম্যান: শায়খ আব্দুল আজিজ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বাজ রাহি’মাহুল্লাহ। [সংগৃহীত]
▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬
সংগ্রহে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।