কাফের দেশে বসবাস এবং বাধ্যতা মূলকভাবে হারামে লিপ্ত হওয়া:

প্রশ্ন: আমাদের এখানে আমেরিকায় কেউ বাড়ি বা ফ্লাট কিনতে চাইলে পুরো টাকা দিয়ে তা নেয়া সম্ভব নয়। তাকে কিছু না কিছু ব্যাংক লোন নিতেই হয়। অথচ আমরা তো জানি যে, যেকোনো প্রকার সুদ দেয়া ও নেয়া হারাম। এখন এ অবস্থায় কাউকে যদি বাধ্য হয়ে লোন নিতে হয়- আর বিকল্প কোন উপায় যদি না থাকে- শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যার কারণে (তবে যথা সম্ভব তাড়াতাড়ি পরিশোধ করার নিয়তে রয়েছে) তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে এ ব্যাপারে কি কোনও শিথিলতা আছে?

উত্তর:
প্রথমে একটি বিষয় বলে নিতে চাই তা হল, এ কথা অনস্বীকার্য যে, যে সকল মুসলিমগণ উন্নত জীবনের আশায় কাফের দেশে বসবাস করে তাদেরকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় অসংখ্য হারাম ও শরিয়া বিরোধী কাজে জড়াতে হয়। বিশেষ করে দুর্বল ঈমানের মানুষেরা নানা ফেতনায় জড়িয়ে ঈমান, আমল, আখলাক সব কিছু হারিয়ে দ্বীনের দিক দিয়ে নি:স্বে পরিণত হয়। ঈমান নিয়ে যায় আর নাস্তিক হয়ে ফিরে আসে। সন্তানগণও সেখানকার শরিয়া বিরোধী কালচারে অভ্যস্ত হয়ে যায় (আল্লাহ যাকে রহম করে সে ব্যতীত) এ কারণে বড় আলেমগণ দাওয়াত এবং একান্ত নিরুপায় হওয়া ছাড়া কাফের দেশে বসবাসকে হারাম বলে ফতোয়া প্রদান করেছে।

যাহোক, কোন ব্যক্তি যদি একান্ত নিরুপায় হয়ে কাফের দেশে বসবাস করে এবং গাড়ি-বাড়ি ক্রয় করতে গেলে বাধ্যতা মূলকভাবে সুদ ভিত্তিক ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয় তাহলে বিকল্প কোন উপায় না থাকলে লোন নিতে পারে কিন্তু যথাসম্ভব দ্রুত তা পরিশোধ করার চেষ্টা করবে- যেন অল্প সময়ের মধ্যেই সুদ থেকে নিষ্কৃতি লাভ করা সম্ভব হয়- তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ ক্ষমা করবেন। কারণ তার এ ছাড়া তা সামনে বিকল্প কোন পথ খোলা ছিলো না। কিন্তু যদি বিকল্প পথ থাকে তাহলে তা বৈধ হবে না। কারণ সুদ ইসলামের দৃষ্টিতে খুব ভয়াবহ একটি গুনাহ। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমীন। আল্লাহু আলাম।
▬▬▬✪✪✪▬▬▬
উত্তরদাতা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

Share: