রোজা ভঙ্গের ভয়াবহ শাস্তি এবং এর কাজা ও কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি

রোজা ভঙ্গের ভয়াবহ শাস্তি এবং এর কাজা ও কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি (বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ) ▬▬▬▬◆◯◆ ▬▬▬▬ প্রশ্ন: ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গ করার শাস্তি ও বিধান কি? কেউ যদি কোন কারণ ছাড়া রোজা ভঙ্গ করে তাহলে তার করণীয় কি? উত্তর: নিম্নে রোজা ভঙ্গের ভয়াবহ শাস্তি এবং এর কাজা ও কাফফারার পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হল: ◍◍ … Read more

ফরয কাযা রোযা এবং নফল রোযা রাখার নিয়ত করার পর তা ভেঙ্গে ফেলার বিধান

প্রশ্ন: নফল রোজা রাখার নিয়ত করে যদি তা রাখতে না পারি তাহলে কি গুনাহ হবে? আর তা কি আবার রাখতেই হবে? অনুরূপভাবে যদি রমাযানের ফরয রোযা বা মানতের রোযা রাখার পর তা ভেঙ্গে ফেলি তাহলে কি গুনাহ হবে? উত্তর: কেউ যদি নফল রোযা রাখার নিয়ত করে রোযা শুরু করে তাহলে তা ইচ্ছে করলে ভেঙ্গে ফেলা … Read more

অতীত জীবনে ছুটে যাওয়া রোযার ক্ষেত্রে করণীয়

প্রশ্ন: অতীত জীবনে অনেক রোযা ছুটে গেছে। এখন যদি সেগুলো পূরণ করা হয় তবে তা হবে কি এবং রোযার ক্ষেত্রে উমরি কাযা আছে কি? উত্তর: অতীত জীবনে অজ্ঞতা বা অবহেলা বশত: যে সমস্ত রোযা রাখা হয় নি সে সমস্ত রোযা তাকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। তার আগে মহান আল্লাহ তা’আলার কাছে সেই ভুলের জন্যেতওবা-ইস্তিগফার করতে … Read more

সন্তানকে দুগ্ধদানকারীনী কি রোযা ভঙ্গ করতে পারবে? ভঙ্গ করলে কিভাবে কাযা আদায় করবে? নাকি রোযার বিনিময়ে খাদ্য দান করবে?

উত্তরঃ ===== দুগ্ধদানকারীনী রোযা রাখার কারণে যদি সন্তানের জীবনের আশংকা করে অর্থাৎ রোযা রাখলে স্তনে দুধ কমে যাবে ফলে শিশু ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তবে মায়ের রোযা ভঙ্গ করা জায়েয। কিন্তু পরবর্তীতে তার কাযা আদায় করে নিবে। কেননা এ অবস্থায় সে অসুস্থ ব্যক্তির অনুরূপ। যার সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন, وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ … Read more

শাবান মাসের দ্বিতীয় অর্ধাংশে রমযানের কাযা রোযা পালনে কোন অসুবিধা নেই

প্রশ্ন: রমযান মাসে গর্ভধারণ ও প্রসব করার কারণে আমার বেশ কিছু রমযানের রোযা কাযা ছিল। আলহামদুলিল্লাহ; আমি সে রোযাগুলো কাযা পালন করেছি; তবে অবশিষ্ট সাতদিন ছাড়া। এ সাতটি রোযার মধ্যে তিনটি শাবান মাসের অর্ধেক অতিবাহিত হওয়ার পর পালন করেছি। রমযানের আগেই আমি বাকী রোযাগুলোও পালন করতে চাই। আপনাদের ওয়েব সাইটে আমি পড়েছি যে, ঐ ব্যক্তি … Read more

রোগজনিত কারণে সিয়ামের কাফফারা আদায়ে ধারাবাহিকতা ভঙ্গ হলে ক্ষতি নেই

প্রশ্ন : আমি রমজানে দিনের বেলায় সহবাসে লিপ্ত হওয়ায় কাফফারার রোযা আদায় শুরু করেছিলাম। রোযা পালনের ৫৭তম দিন সম্পন্ন করার পর অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ি যে আমি আর রোযা পালন করতে পারছিলাম না। তাই পরপর দুইদিন রোযা না রেখে পরের দিন থেকে রোযা পালন শুরু করি এবং ৬০ দিন পূরণ করি। এতে কি আমার কাফফারা … Read more

যে ব্যক্তির অনাদায়কৃত ফরজ নামাজ ও ফরজ রোযার সংখ্যা মনে নেই, তার করণীয় কি?

প্রশ্ন : যদি কোন মুসলিমের অনাদায়কৃত সালাত ও সিয়ামের সংখ্যা মনে না থাকে, তবে তিনি কিভাবে নামাজ ও রোযার কাযা করবেন? উত্তর : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। প্রথমত: অনাদায়কৃত সালাতের ক্ষেত্রে তিনটি অবস্থা হতে পারে : প্রথম অবস্থা : ঘুম বা ভুলে যাওয়ার মত শরিয়ত অনুমোদিত ওজরের কারণে সালাত ছুটে যাওয়া। এ অবস্থায় তার উপর … Read more

রমজানের কাযা আদায় ও শাওয়ালের ছয় দিনের রোযা এক নিয়্যতে এক সাথে আদায় করা শুদ্ধ নয়।

প্রশ্ন : শাওয়ালের ছয় দিনের রোযা ও হায়েযজনিত কারণে রমজানের ভঙ্গ হওয়া দিনগুলোর কাযা রোযা এক নিয়্যতে পালন করা কি জায়েয হবে? উত্তর : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। না,তা শুদ্ধ নয়। কারণ রমজানের না-রাখা রোযার কাযা পালন সম্পূর্ণ শেষ না করা পর্যন্ত শাওয়ালের ছয় রোযা রাখা যাবে না। শাইখ ইবনে উছাইমীন  ‘ফাতাওয়াস্‌ সিয়াম’ (৪৩৮) এ … Read more

যারা কমিউনিস্ট শাসন এর অধীনে বসবাস করত, নামায-রোজা কি জিনিস জানত না; তাদের উপর কি কাযা আছে?

প্রশ্ন: আমি বুলগেরিয়ার অধিবাসী একজন মুসলিম নারী। আমরা কমিউনিস্ট শাসনাধীনে ছিলাম। ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। বরং ইসলামের অনেক ইবাদত পালন আমাদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। আমি ২০ বছর বয়স পর্যন্ত ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। এরপর আমি শরয়ি বিধিবিধান মানতে শুরু করলাম। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- আমাকে কি ইতিপূর্বের অনাদায় নামায ও রোজাগুলো কাযা করতে হবে? … Read more

কাযা রোজার আগে কি ছয় রোজা রাখা শুরু করবে যদি শাওয়াল মাসের অবশিষ্ট দিন উভয় রোজা পালনের জন্য যথেষ্ট না হয়

প্রশ্ন: শাওয়াল মাসের যে কয়দিন বাকী আছে সেদিনগুলো যদি রমজানের কাযা রোজা ও শাওয়ালের ছয় রোজা রাখার জন্য যথেষ্ট না হয় তাহলে কি কাযা রোজার আগে ছয় রোজা রাখা জায়েয হবে? উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। সঠিক মতানুযায়ী শাওয়ালের ছয় রোজা রমজানের রোজা পূর্ণ করার সাথে সম্পৃক্ত। দলিল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: ( مَنْ صَامَ … Read more

দুই রমজানের কাযা রোযা পালন না করে যার মা মারা গেছে

প্রশ্ন: আমার মা মারা গেছেন। তিনি জীবিত থাকতে আমাকে বলে গেছেন যে,তার উপর দুই বছরের রমজান মাসের রোযা কাযা করা বাকি আছে। যখন রমজান মাস এসেছিল তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনি কাযা পালন করে যেতে পারেননি । আমি কি তার পক্ষে রোযা আদায় করব, নাকি মিসকীন খাওয়াব? এই মিসকীন খাওয়ানোর পদ্ধতিটা কি? … Read more

রমজানের কাযা রোজা লাগাতরভাবে রাখা ফরজ নয়

প্রশ্ন: অসুস্থতার কারণে আমি রমজানের পাঁচটি রোজা রাখতে পারিনি। এখন এ রোজাগুলো কি লাগাতরভাবে রাখতে হবে? নাকি প্রতি সপ্তাহে আমি একটি করে রোজা রাখতে পারব? উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ। রমজানের কাযা রোজার ব্যাপারে সকল ইমাম একমত যে, কোন ব্যক্তি যে কয়দিনের রোজা রাখতে পারেনি সে কয়দিনের রোজা কাযা করবে। দলিল হচ্ছে আল্লাহর বাণী: “আর তোমাদের মধ্যে … Read more

রোজার কাযা বিলম্বে পালন করা

প্রশ্ন: কোন এক বছর রমজান মাসের যে দিনগুলোতে আমার মাসিক ছিল সেদিনগুলোতে আমি রোজা ভেঙ্গেছি। কিন্তু অনেক বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও আমি সে রোজাগুলো রাখতে পারিনি। আমি আমার দায়িত্বে থেকে যাওয়া সে রোজাগুলোর কাযা পালন করতে চাচ্ছি। কিন্তু কয়দিন আমি রোজা ভেঙ্গেছি সেটা আমার মনে নেই। এখন আমি কী করব? উত্তর : সমস্ত প্রশংসা … Read more

যার উপরে রমযানের কাযা রোযা রয়েছে তার জন্যে কি শাওয়ালের ছয় রোযা রাখা শরিয়তসম্মত হবে?

প্রশ্ন: যে ব্যক্তি রমযান মাসের পর শাওয়ালের ছয় রোযা রেখেছে কিন্তু রমযানের সবগুলো রোযা রাখেনি। শরিয়তস্বীকৃত ওজরের কারণে রমযানের দশটি রোযা ভেঙ্গেছে। সে ব্যক্তি কি ঐ ব্যক্তির সম-পরিমাণ সওয়াব পাবে যে ব্যক্তি গোটা রমযান মাস রোযা রেখেছে এবং শাওয়াল মাসেও ছয় রোযা রেখেছে। সে ব্যক্তি কি গোটা বছর রোযা রাখার সওয়াব পাবে? আশা করি, আমাদেরকে … Read more

শাওয়াল মাসের দ্বিতীয় দিন রোযা রাখা জায়েয

প্রশ্ন: ঈদের দ্বিতীয় দিন কিংবা তৃতীয় দিন কাযা রোযা রাখা কি জায়েয আছে? আলহামদুলিল্লাহ। ঈদুল ফিতর শুধু একদিন। সে দিনটি হলো- শাওয়াল মাসের প্রথম দিন। পক্ষান্তরে, মানুষের মাঝে যে ধারণা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে, ‘ঈদুল ফিতর তিনদিন’ এটি শুধুমাত্র সামাজিক প্রথা ছাড়া আর কিছু নয়; এর উপরে কোন শরয়ি হুকুম বর্তায় না। ইমাম বুখারী … Read more

যে ব্যক্তি কোন ওজর ছাড়া রমযানের রোযা রাখেনি কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে রোযা ভেঙ্গে ফেলেছে তার উপর কি কাযা পালন করা ফরয?

যদি কেউ কোন ওজর ছাড়া রমযানের রোযা না-রেখে থাকে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে রোযা ভেঙ্গে থাকে যে দিনগুলোর রোযা সে ভঙ্গ করেছে সে দিনগুলোর রোযা কাযা পালন করা তার উপর কি ফরয? আলহামদুলিল্লাহ। রমযানের রোযা পালন ইসলামের অন্যতম একটি রুকন (মূল স্তম্ভ)। কোন মুসলিমের জন্য ওজর ছাড়া রমযানের রোযা ত্যাগ করা বৈধ নয়। যে ব্যক্তি শরিয়ত অনুমোদিত … Read more

রমযানের ছুটে যাওয়া রোযার নিয়তে সন্দেহের দিন রোযা রাখা

আমি জানি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্দেহের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। রমযানের রোযার দুইদিন আগে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু, এই দিনগুলোতে গত রমযানের কাযা রোযা পালন করার আমার জন্য জায়েয হবে? আলহামদুলিল্লাহ। হ্যাঁ, গত রমযানের কাযা রোযা সন্দেহের দিন, রমযানের একদিন বা দুইদিন আগে পালন করা জায়েয আছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি … Read more

রমযানের কাযা রোযা পালনে এত বিলম্ব করা যে, পরবর্তী রমযান শুরু হয়ে যায়

হায়েযের কারণে আমি রমযানের কয়েকদিন রোযা থাকতে পারিনি। এটা কয়েক বছর ঘটেছে। এ পর্যন্ত আমি সে রোযাগুলো পালন করিনি। এখন আমার কী করণীয়? আলহামদুলিল্লাহ। ইমামগণের সর্বসম্মতিক্রমে যে ব্যক্তি রমযানের কিছু রোযা ভেঙ্গেছে পরবর্তী রমযান আসার আগেই সে রোযাগুলোর কাযা পালন করা তার উপর ওয়াজিব। এ অভিমতের সপক্ষে তারা দলিল দেন আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস … Read more

ফরয রোযার কাযা পালনকালে রোযা ভেঙ্গে ফেলার হুকুম

ফরয রোযার কাযা পালনকালে রোযা ভেঙ্গে ফেলার হুকুম? আলহামদুলিল্লাহ। যে ব্যক্তি কোন ফরয রোযা পালন করা শুরু করেছে যেমন রমযানের কাযা রোযা কিংবা শপথ ভঙ্গের কাফ্‌ফারার রোযা তার জন্য কোন ওজর ছাড়া (যেমন- রোগ ও সফর) উক্ত রোযা ভেঙ্গে ফেলা জায়েয নয়। যদি কেউ ওজরের কারণে কিংবা ওজর ছাড়া রোযা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার উপর … Read more

যার রোগ মুক্তির আশা ছিল না কিন্তু আল্লাহ্ তাকে সুস্থ করে দিয়েছেন

প্রশ্ন: যে রোগ থেকে স্বভাবতঃ সুস্থতা আশা করা যায় না এমন হৃদরোগের কারণে ডাক্তারেরা জনৈক মহিলাকে রোযা পালন করতে নিষেধ করেছিলেন। তাই তিনি রমজানে রোযা না রেখে প্রতিদিনের রোযার পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াতেন। এরপর আল্লাহর ইচ্ছায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরো অগ্রগতি হয়। ফলে তাঁর হার্টে ভাল্বের সার্জারি করা সম্ভব হয় এবং আলহামদুলিল্লাহ্, উক্ত সার্জারি সফল … Read more

যিনি রোগের কারণে রমজানের দুই দিনের রোযা না রেখে মারা গেছেন তার সন্তানদের করণীয় কী?

প্রশ্ন : আমার বাবা মারা গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার আগের বছর রোগের কারণে রমজানের দুই দিনের রোযা রাখতে পারেননি। তিনি শাওয়াল মাসে মারা যান। তিনি বলেছিলেন যে, এই দুই দিনের রোযার পরিবর্তে তিনি মিসকীন খাওয়াবেন। এখন এর হুকুম কী এবং আমাদের উপরই বা কী করা ওয়াজিব? আমরা কি তার পক্ষ থেকে রোযা পালন করব এবং … Read more

এদের উপর কি রোজা পালন ওয়াজিব এবং রোজার কাযা করা অপরিহার্য?

প্রশ্ন: যে শিশু বালেগ হওয়ার আগে থেকে রমজানের রোজা পালন করত। রমজান মাসের দিনের বেলায় সে বালেগ হল। তাকে কি সেই দিনের রোজা কাযা করতে হবে? একইভাবে রমজান মাসে দিনের বেলা যে কাফের ইসলাম গ্রহণ করল, যে নারী হায়েয থেকে পবিত্র হল, যে পাগল জ্ঞান ফিরে পেল, যে মুসাফির রোজা না-রাখা অবস্থায় স্বগৃহে ফিরে আসল, … Read more

ষাটজন মিসকীনকে একসাথে খাওয়ানো কি ওয়াজিব? নিজ পরিবারকে কি কাফফারা হতে খাওয়ানো যায়?

প্রশ্ন : আমি স্বেচ্ছায় রমজান মাসে একদিন রোযা ভেঙ্গে ফেলেছিলাম। এখন ষাটজন মিসকীনকে খাওয়ানোর নিয়্যত করেছি। প্রশ্ন হচ্ছে-মিসকীনদেরকে কি একবারেই খাওয়ানো শর্ত, নাকি আমি প্রতিদিন তিন বা চারজন করে মিসকীন খাওয়াতে পারি? আমার পরিবারের সদস্যরা (যেমন আমার বাবা,মা ও ভাইয়েরা) যদি মিসকীন হয়ে থাকে আমি কি তাদেরকে খাওয়াতে পারি। উত্তর  : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। … Read more