হাদিস অস্বীকারকারী অধ্যক্ষ মোজ্জামেল হক ও তার অনুসারীদের কাণ্ড এবং তাদের জবাব

✪ এক: হাদিস অস্বীকার কারীরা তিন শ্রেণির। যথা:
◈ ১. কিছু মানুষ আছে যারা হাদিসকে পুরোপুরি অস্বীকার করে।
◈ ২. কিছু মানুষ আছে যারা তাদের নিজস্ব আকল বা বিচার-বুদ্ধি দ্বারা হাদিসকে বিচার করে। যা বিবেক সম্মত মনে হয় তা গ্রহণ করে আর যা বিবেক বিরোধী মনে হয় তা অস্বীকার করে।
◈ ৩. কিছু মানুষ আছে যারা এ দাবী করে যে, যে সব হাদিস কুরআনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শুধু সেগুলো গ্রহণযোগ্য আর যেগুলো কুরআনের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো প্রত্যাখ্যান যোগ্য।

এদের সকলেই কাফির-মুরতাদ। কেননা কেউ যদি সহিহ সনদে প্রমাণিত একটি হাদিসকেও অস্বীকার করে তাহলে যেন আল্লাহর রাসুলের নিঃশর্ত অনুসরণ বিষয়ে কুআনের বহু নির্দেশকে অস্বীকার করল। এতে তারা প্রকারান্তরে কুরআনকেই অস্বীকার করল। অর্থাৎ প্রতিটি মুনকিরিনে হাদিস (হাদিস অস্বীকারকারী) মূলত: মুনকিরিনে কুরআন (কুরআন অস্বীকার কারী)। অত:এব তারা সকলেই ইসলামের গণ্ডি থেকে বহিষ্কৃত মুরতাদ-কাফির। হাদিস অস্বীকারকারী, ইসলাম বিকৃতকারী এবং ইসলামের দুশমন ফিতবাজ এই গোষ্ঠীটিকে আল্লাহ তাআলা হেদায়েত দান করুন অথবা পৃথিবী থেকে তাদের অস্তিত্ব মুছে দিন। আমিন।

✪ দুই: প্রকৃত পক্ষে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক ৩য় প্রকার হাদিস অস্বীকার কারীদের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ তার দাবী অনুযায়ী কুরআনের সাথে অনেক হাদিস সংঘর্ষিক। তিনি সেগুলো মানেন না। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)।

তার কয়েকটি প্রমাণ নিচে উপস্থাপন করা হল:

১. নিচের এই বক্তব্যটা শুনুন। একদম প্রথম দিকেই তিনি বলেছেন যে, মুনকার-নাকির ফেরেশতাদের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির সওয়াল-জওয়াব-এর বিষয়টা তিনি কুরআনে কোথাও খুঁজে পাননি। তার মানে হাদিসে থাকলেও তা মানা যাবে না! এখানে তিনি স্পষ্টভাবে কবরের সওয়াল-জবাব শীর্ষক হাদিসগুলোকে অস্বীকার করেছেন।
https://youtu.be/xq5yR8RqUyA

২. এ বক্তব্যে তিনি বলেন, কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হাদিসের সংখ্যা অসংখ্য। কবরের আজাব সংক্রান্ত সকল হাদিস কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক!
https://youtu.be/i4BPXXFlAa0

৩. মোজাম্মেল সাহেব তার এই বক্তব্যে আদম আলাইহিস সালাম ষাটগজ লম্বা ছিলেন এ সংক্রান্ত হাদিসগুলোকে অস্বীকার করেছেন। এই বক্তব্যের মধ্যে তিনি বলেছেন যে, সহিহ বুখারীর হাদিস মানার জন্য আল্লাহও বলেন নাই, তার রাসূলও বলেন নাই! তাই সহিহ বুখারির হাদিস মানা যাবে না।
https://youtu.be/SIDWrZ0MB8o

একটু Youtube সার্চ করেই এমন ভয়াবহ হাদিস অস্বীকার করার বিষয়গুলো বের হয়ে আসছে। কিন্তু কত বড় গলায় বলেন যে, তিনি নাকি হাদিস অস্বীকার করে না!! যারা তার নামে এ অপবাদ দিবে তাদেরকে তিনি ক্ষমা করবেন না ইত্যাদি। আর তার কিছু অন্ধবভক্ত তার পক্ষে ডিফেন্স করতে অনবরণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু টেকনলোজির যুগে এত স্পষ্ট বিষয়গুলো কীভাবে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে তা দেখে অবাক না হয়ে পারি না। আল্লাহ তাকে এবং তার অন্ধভক্তদেরকে হেদায়েত দান করুন। আমিন।▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল