রোজার কাযা বিলম্বে পালন করা

প্রশ্ন: কোন এক বছর রমজান মাসের যে দিনগুলোতে আমার মাসিক ছিল সেদিনগুলোতে আমি রোজা ভেঙ্গেছি। কিন্তু অনেক বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও আমি সে রোজাগুলো রাখতে পারিনি। আমি আমার দায়িত্বে থেকে যাওয়া সে রোজাগুলোর কাযা পালন করতে চাচ্ছি। কিন্তু কয়দিন আমি রোজা ভেঙ্গেছি সেটা আমার মনে নেই। এখন আমি কী করব?

উত্তর :

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

আপনাকে তিনটি কাজ করতে হবে:

এক: এই বিলম্বের কারণে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে; যে অবহেলা হয়েছে সে অবহেলার কারণে অনুশোচনা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ রকম না করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেন: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকল গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে তওবা কর; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।”[সূরা নূর, আয়াত: ৩১] এ বিলম্ব করাতে গুনাহ হয়েছে; এর থেকে তওবা করা ওয়াজিব।

দুই: একটা সংখ্যা ধরে নিয়ে অনতিবিলম্বে রোজা আদায় করে নেয়া। কারণ আল্লাহ তাআলা কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোন কিছু চাপিয়ে দেন না। সুতরাং যে কয়দিন রোজা ভেঙ্গেছেন বলে ধারণ হচ্ছে সে কয়দিন কাযা করে নিন। যদি আপনার মনে হয় দশদিন তাহলে দশদিন কাযা করুন। যদি মনে করেন এর চেয়ে বেশি তাহলে এর চেয়ে বেশি দিন অথবা কম দিন আপনার ধারণা অনুযায়ী কাযা করুন। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না।” [সূরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬] আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: “সাধ্যানুযায়ী আল্লাহকে ভয় কর” [সূরা তাগাবুন, আয়াত: ১৬]

তিন: যদি আপনি সামর্থ্যবান হন তাহলে প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীন খাওয়ান। সবদিনের খাদ্য একজন মিসকীনকে দিয়ে দিলেও হবে। আর যদি আপনি অসামর্থ্যবান হন তাহলে রোজা রাখা ও তওবা করাই যথেষ্ট হবে।

প্রতিদিনের বদলে অর্ধ সা’ স্থানীয় খাদ্য বিতরণ করতে হবে। অর্ধ সা’ এর পরিমাণ হচ্ছে- আড়াই কিলোগ্রাম।

মাজমুউ ফাতাওয়া ও মাকালাতিস শাইখ বিন বায (৬/১৯)