বিড়ি-সিগারেট, গুল, জর্দা, সিসা, হুক্কা ইত্যাদি গ্রহণের বিধান

প্রশ্ন: বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা সিসা, হুক্কা ইত্যাদি গ্রহণের বিধান কি?

উত্তর:

ইসলামে ধূমপান ও সকল প্রকার নেশা দ্রব্য হারাম। আমাদের সমাজে ধূমপানের বিভিন্ন পদ্ধতি চালু রয়েছে। যেমন বিড়ি, সিগারেট, সিসা, হুক্কা ইত্যাদি।
অনুরূপভাবে মানুষ বিভিন্নভাবে গুল, জর্দা, তামাক ইত্যাদি সেবন করে থাকে। এগুলো সব নেশা দ্রব্য। সে কারণে এগুলো সেবন করা হারাম। কেননা, বৈজ্ঞানিকভাবে এগুলো মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হিসেবে প্রমাণিত।

বিশেষজ্ঞগণ বলেন, সাধারণ বিড়ি-সিগারেটের চেয়ে সিসা বেশি ক্ষতিকর। সিসার ছোবলে বাড়ছে মরণ ব্যাধি ক্যান্সার। তারা এটাও বলছেন যে, একবার সিসা সেবন করলে তা ২০০টি সিগারেট পানের চেয়েও বেশি ক্ষতি বয়ে আনে।
এবার আসুন, জিনে নি কী কী কারণে ইসলামে ধূমপান হারাম।

➤ যে সব কারণে ধূমপান হারাম:

 ১) ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কারক ও বিভিন্ন রোগের কারণ। সুতরাং ধূমপান সেবন করা নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার নামান্তর। অথচ ইসলামে নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হারাম। (সূরা বাকারা: ১৯৫)
২) এটি মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ। সুতরাং ধূমপান আত্মহত্যার শামিল। আর ইসলামে আত্মহত্যা করা মারাত্মক অপরাধ।
৩) এর মাধ্যমে ধূমপায়ী নিজের যেমন ক্ষতি করে অন্যের ক্ষতি করে।
ইসলামে নিজের বা অন্যের ক্ষতি করা হারাম। (মুয়াত্তা মালিক)
৪) দুর্গন্ধময়। যা অন্যের কষ্টের কারণ। কোন মুসলমানকে কষ্ট দেয়া হারাম। (সূরা আহযাব: ৫৮)
৩) অর্থ অপচয়। আল্লাহ তাআলা বলেন: “অপচয়কারী শয়তানের ভাই।” (সূরা ইসরা: ২৭)
 ৫) এটি একটি নাপাক বস্তু। আল্লাহ তায়ালা নাপাক জিনিস ভক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন। (আরাফ: ১৫৭)
৬) এটি একটি প্রকাশ্য পাপ। আর প্রকাশ্যে পাপাচার করার শাস্তি আরও বেশী।
৭) আল্লাহ নির্দেশের লঙ্ঘন। কেননা, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র ও হালাল জিনিস ভক্ষণ করতে আদেশ করেছেন। (সূরা বাকারা: ১৭২)
 ৮) তামাক নেশা দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। কম হোক বা বেশী হোক সকল প্রকার নেশা দ্রব্য ইসলামে হারাম। (তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী।।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA