ঈদের কতিপয় বিদআত

১) ঈদের রাতকে বিশেষ ফযিলত পূর্ণ মনে করে সারারাত ইবাদত বন্দেগী করা।
২) ঈদের দিন রোযা রাখা।
৩) দলবদ্ধভাবে সমস্বরে ঈদের তাকবীর বলা।
৪) ঈদের দিন কবর জিয়ারত করাকে বিশেষ ফযিলতপূর্ণ মনে করা।
(সাধারণভাবে কবর জিয়ারত করা মোস্তাহাব। তবে এ জন্য বিশেষ দিনকে ফযীলতপূর্ণ মনে করা বিদআত)
৫) ঈদের সালাতের পর প্রচলিত পদ্ধতিতে হলকায়ে জিকির বা মিলাদ মাহফিল করা।
৬) ঈদের মাঠে ঈদের সালাতের আগে বা পরে কোন ধরণের নামায পড়া।
(তবে মসজিদে হলে বসার আগে তাহিয়াতুল মসজিদ হিসেবে দু রাকআত পড়া যায়।)
৭) ঈদের নামাযের পর মুআনাকা বা কোলাকোলি করাকে ঈদের সুন্নত মনে করা। তবে আনন্দ, আবেগ ও ভালবাসার বর্হিপ্রকাশ হিসেবে মুআনাকা/কোলাকুলি করা হলে তাতে কোনো দোষ নই ইনশাআল্লাহ।
৮) মুসলিম সমাজ থেকে আলাদা হয়ে একদিন আগে বা পরে পৃথক ভাবে ঈদের জামায়াত করা।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সব ধরণের সুন্নাহ পরিপন্থী, বিদআত ও কুসংস্কার মুলক কার্যক্রম থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬
লেখক:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।