রমজানের কাযা আদায় ও শাওয়ালের ছয় দিনের রোযা এক নিয়্যতে এক সাথে আদায় করা শুদ্ধ নয়।

প্রশ্ন :
শাওয়ালের ছয় দিনের রোযা ও হায়েযজনিত কারণে রমজানের ভঙ্গ হওয়া দিনগুলোর কাযা রোযা এক নিয়্যতে পালন করা কি জায়েয হবে?

উত্তর :

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

না,তা শুদ্ধ নয়। কারণ রমজানের না-রাখা রোযার কাযা পালন সম্পূর্ণ শেষ না করা পর্যন্ত শাওয়ালের ছয় রোযা রাখা যাবে না।

শাইখ ইবনে উছাইমীন  ‘ফাতাওয়াস্‌ সিয়াম’ (৪৩৮) এ বলেছেন  :

যে ব্যক্তি আরাফাতের দিন অথবা আশুরার দিনে রোযা পালন করে এবং তাঁর উপর রমজানের কাযা রোযা অনাদায়থাকে তবে তাঁর রোযা রাখাটা সহীহ। তবে তিনি যদি এই রোযার মাধ্যমে রমজানের কাযা রোযা পালনেরও নিয়্যত করে তবে তাঁর দুটি সাওয়াব হবে। আরাফাতের দিন অথবা আশুরার দিন রোযা পালনের সাওয়াব ও কাযা রোযাআদায়ের সওয়াব।এটি সাধারণ নফল রোযার ক্ষেত্রে প্রযোজ্যরমজানের রোযার সাথে যে নফল রোযার কোন সম্পর্ক নেই। তবে শায়ালের ছয় রোযারমজানের সাথে সম্পৃক্তসে রোযারমজানের কাযারোযা আদায়ের পরেই রাখতে হবে।তাই যদি কেউ কাযা আদায়ের আগে তা পালন করে তবে তিনি এর সওয়াব পাবেন না কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামবলেছেন :  

(من صام رمضان ثم أتبعه بست من شوال فكأنما صام الدهر)

যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোযা পালন করল,এর সাথে শাওয়াল মাসেও ছয়দিন রোযা পালন করল, সে যেন গোটা বছর রোযা রাখল।”

আর এটি জানা বিষয় যে, যার উপর কাযা রোযা রয়ে গেছে সে রমজান মাসেরোযা পালন করেছে বলে ধরা হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তারকাযা রোযা আদায় সম্পূর্ণ করে।” সমাপ্ত।

https://islamqa.info/bn/39328

Share: