প্রশ্ন :
আমার বাবা মারা গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার আগের বছর রোগের কারণে রমজানের দুই দিনের রোযা রাখতে পারেননি। তিনি শাওয়াল মাসে মারা যান। তিনি বলেছিলেন যে, এই দুই দিনের রোযার পরিবর্তে তিনি মিসকীন খাওয়াবেন। এখন এর হুকুম কী এবং আমাদের উপরই বা কী করা ওয়াজিব? আমরা কি তার পক্ষ থেকে রোযা পালন করব এবং ফিদিয়া দিব, নাকি শুধু ফিদিয়া দিব? উল্লেখ্য যে, আমরা জানি না তিনি কি এই দুই দিনের পরিবর্তে ফিদিয়া দিয়েছিলেন অথবা রোযা রেখেছিলেন। তিনি ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত ছিলেন বিধায় খুব কষ্ট করে রমজান মাসে রোযা পালন করতেন।
উত্তর :
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
যদি আপনাদের বাবা বিগত রমজানের সিয়াম কাযা করতে সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও পরবর্তী রমজান আসা পর্যন্ত এর কাযা আদায়ে অবহেলা করে থাকেন এবং এর পরে তিনি মারা যান, তবে আপনাদের জন্য উত্তম হল সেই দুই দিনের কাযা আদায় করা। এ ব্যাপারে দলীল হলো- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী: “যে ব্যক্তি তার জিম্মায়সিয়াম পালন বাকি রেখে মারা গেছে তার পক্ষ থেকে তার ওলি (আত্মীয়–পরিজন) রোযা পালন করবে।”[সহীহ বুখারী (১৮৫১) ও সহীহ মুসলিম (১১৪৭) ]
আর আপনারা যদি তাঁর পক্ষ থেকে স্থানীয় খাদ্যের এক স্বা‘ (প্রায় ৩ কিঃগ্রাঃ এর সমান) পরিমাণ খাদ্য কোন মিসকীনকে দান করেন তবে সেটাও যথেষ্ট হবে।
আর যদি পরবর্তী রমজান আসার আগে তিনি রোগের কারণে সেই দুই দিনের রোযা কাযা পালনে সক্ষম না হয়ে থাকেন তবে কোন কাযা আদায় করা বা ফিদিয়া আদায় করার প্রয়োজন নেই। কারণ এক্ষেত্রে তিনি দায়িত্ব পালনে কোন অবহেলা করেন নি।
আল্লাহই তাওফিকদাতা। আল্লাহ আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।” সমাপ্ত
গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি
শাইখ আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায, শাইখ আব্দুল্লাহ বিন গুদাইইয়ান, শাইখ সালেহ ফাওযান, আব্দুল আযীয আলে শাইখ, শাইখ বাক্র আবু যাইদ। [ফাতাওয়া আল-]