🌕 ফযীলত : ফরজের পরে তাহাজ্জুদের সালাত আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে প্রিয়। এটি নিরাপদে জান্নাত লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
🌕 সময় : অর্ধ রাতের পরে। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশা সালাতের পর দু রাকআত সুন্নতের পর ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েজ আছে।
🌕 রাকআত সংখ্যা : সর্ব নিম্ন দু রাকআত। আর সর্বোচ্চ ৮ রাকায়াত পড়া উত্তম। তবে আরও বেশী পড়া জায়েজ আছে। এরপরে বিতর নামায পড়া।
🌕 তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ম : দু রাকআত দু রাকআত করে যথা সম্ভব লম্বা কিরাআত, লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে একান্ত নিবিষ্ট মনে পড়া।
🌕 পড়ার স্থান : ঘরে পড়া উত্তম। তবে মসজিদে পড়াও জায়েজ আছে।
🌕 কিরাআত : উঁচু বা নিচু উভয় আওয়াজে পড়া জায়েজ আছে। তবে কারো কষ্টের কারণ হলে চুপিচুপি পড়া কর্তব্য।
🌕 ছুটে গেলে : তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত ব্যক্তি কোন কারণ বশত: রাতে পড়তে না পারলে সূর্য উঠার পর ও যোহরের সময় হওয়ার পূর্বে তা পড়ে নিতে পারে।
🌕 জামায়াতে পড়া : রামাযান ছাড়া অন্য সময় মাঝে-মধ্যে জামায়াতে পড়া জায়েজ আছে। তবে নিয়মিতভাবে নয়। রামাযানে তারাবীহ জামাআতে পড়া সুন্নত।
🌕 নিয়মিত পড়া: নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়া আল্লাহ তায়ালার নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয় আমল।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তার পছন্দীয় আমল গুলো সম্পাদন করে তাঁর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নিন। আমীন।
▬▬▬▬✪✪✪▬▬▬
গ্রন্থনায় : আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব