প্রশ্ন: যে সব বাচ্চারা মকতবে পড়ে বা মাদরাসায় হিফজ করে তাদের তো অনেক সময় নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় তারা ওজু ধরে রাখতে পারে না। এখন তারা ওজু ছাড়া কি আম্মাপারা বা আরবি স্পর্শ করতে পারবে? তাদের তো আর বারবার ওজু করা সম্ভবও নয়।
উত্তর:
‘আম্মা পারা’ মূলত: কুরআনের ৩০তম অধ্যায়ের নাম। সুতরাং তা কুরআনের অংশ হিসেবে পরিগণিত। আর ওজু ব্যতিরেকে মুসহাফ (গ্রন্থাকারে লিখিত কুরআন) স্পর্শ করা যাবে কি তা দ্বিমত পূর্ণ। তবে অধিক বিশুদ্ধ মতে, মুসহাফ স্পর্শ করার জন্য ওজু থাকা আবশ্যক।
কিন্তু শাইখ উসাইমিন রহ. বলেন,
أن بعض أهل العلم رخص للصغار أن يمسوا القرآن لحاجتهم لذلك وعدم إدراكهم للوضوء
“কতিপয় আহলে ইলম প্রয়োজন বশত: ছোট শিশুদের জন্য কুরআন স্পর্শ করার বিষয়ে ছাড় দিয়েছেন-যেহেতু তারা ওযুর বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়।”
অবশ্য শিক্ষক তাদেরকে ওজু করার নির্দেশ দিবেন যেন তারা অভ্যস্ত হতে পারে। বিশেষ করে যাদের বয়স সাত বছর। কারণ তারা ওজুর নিয়ম-কানুন ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম এবং ওজু করাও তাদের জন্য তেমন জটিল বিষয় নয়। আল্লাহু আলাম।
– কুরআন ছাড়া নূরানি কায়েদা, আরবি শিক্ষার বই, সাধারণ আরবি সাহিত্য, আরবি পত্রপত্রিকা, হাদিস, তাফসির, দুআ এবং অন্যান্য ইসলামি বই-পুস্তক স্পর্শ করার জন্য ওজু থাকা জরুরি নয়।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬✪✪✪▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।