প্রশ্ন: কিছু মানুষকে ওযু শেষে আসমানের দিকে তাকিয়ে তর্জনী অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে কালিমা শাহাদাত পড়তে দেখা যায়। এটি কি হাদিস সম্মত?
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর: ওযু করার পর কালিমা শাহাদাত পড়ার সময় আসমানের দিকে তাকানো এবং সে দিকে তর্জনী অঙ্গুলি ইশারা করা হাদিস সম্মত নয় বরং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যারা এমনটি করে তারা হয়ত সুন্নাহ সম্পর্কে অজ্ঞতা বশত: করে। আল্লাহ ক্ষমা করুন।
ইসলামের বিধান হল, যে কোনো ইবাদত করার পূর্বে সে বিষয়ে দলীল থাকা অপরিহার্য। নিজের পক্ষ থেকে কোনো কিছু বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ নাই।
যাহোক, এ ক্ষেত্রে সুন্নাহ সম্মত সঠিক নিয়ম হল, ওযু শেষ করার পর সাধারণভাবে উক্ত দুআটি পাঠ করতে হবে। (আসমানের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নাই এবং তর্জনী অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করারও প্রয়োজন নাই)। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ – أَوْ فَيُسْبِغُ – الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ
“তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ রূপে ওযূ করার পর বলে:
«أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ»
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই , তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-তাঁর বান্দাহ্ ও রাসূল- তাহলে তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে।” [সহীহ মুসলিম (২৩৪)।]
আল্লামা উসাইমীন রহঃ কে ওযুর পর উক্ত দুআ পড়ার সময় আসমানের দিকে তাকানো এবং তর্জনী অঙ্গুলি আসমানের দিকে উত্তোলন করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
“لا أعلم له أصلاً
“এর কোনো ভিত্তি (দলীল) আছে বলে আমার জানা নাই।” [সংক্ষেপিত। উৎস: নূরুন আ’লাদ দারব (এটি সৌদি আরবের রেডিও কুরআনের একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান।) বিষয়: ওযুর ফরয ও পদ্ধতি]
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।।