প্রশ্ন: আমার এক বান্ধবীর নাস্তিকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক। তাকে আমি বুঝানোর পরও সে তাকে ছাড়তে পারছে না। এতে সে দিন দিন নামাজ-রোজা কোন কিছুই ঠিক ভাবে করছে না। আমি তাকে ইসলামের কথা বলেও লাভ হচ্ছে না। সে চায়, আমি যেন বন্ধুত্বে ধর্ম না টানি! এক্ষেত্রে আমার কী করণীয়? তাকে কিভাবে বুঝানো যাবে?
উত্তর:
ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক হারাম। এটি শয়তানের ফাঁদ এবং জাহান্নামের রাস্তা। কিন্তু শয়তান মানুষের সামনে এই হারাম বিষয়টিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে। যার কারণে প্রেম মগ্ন তরুণ-তরুণীরা ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায় এবং অন্ধ ও বধিরে পরিণত হয়।
আল্লাহ আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন। আমীন।
যা হোক, আপনার করণীয় হল, আপনার বান্ধবীকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া এবং শয়তানের পথে অগ্রসর হতে নিষেধ করা। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَن رَأَى مِنكُم مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بيَدِهِ، فإنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسانِهِ، فإنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وذلكَ أضْعَفُ الإيمانِ
“তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় কাজ থেকে দেখবে সে যেন হাত দ্বারা তা প্রতিরোধ করে। যদি সে এর সামর্থ্য না রাখে তবে যেন মুখ দ্বারা বাধা দেয়। যদি এরও সামর্থ্য না রাখে তবে অন্তর দ্বারা।” (সহিহ মুসলিম, হা/৪৯, প্রখ্যাত সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত)
তাকে বুঝানো ও নিষেধ করার পরেও যদি নিজেই ধ্বংসের রাস্তা বেছে নেয় তাহলে এখানে আপনার কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করে তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না।
তাই আপনি আন্তরিকতার সাথে তাকে দ্বীনের পথে ফিরে আসার আহ্বান করুন,
ইসলামের বাণী তার কর্ণ কুহুরে পৌঁছিয়ে দিন এবং তার হেদায়েতের জন্য দুআ করুন। এতটুকুই আপনার দায়িত্ব। আল্লাহ বলেন:
وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
“পরিষ্কারভাবে (আল্লাহর বাণী) পৌঁছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।” (সূরা ইয়াসিন: ১৭)
এই দায়িত্ব পালনের কারণে আপনি সওয়াব পাবেন কিন্তু সে দাওয়াত প্রত্যাখ্যান কারণে আখিরাতে ফেঁসে যাবে যদি বেঁচে থাকা অবস্থায় তওবা করে ফিরে না আসে।
আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীন ইসলামের পথে টিকিয়ে রাখুন দম বন্ধ হওয়া পর্যন্ত। আমীন
▬▬▬ ◄🌀► ▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।।