স্বামী যদি স্ত্রীকে তার বাবা-মার খেদমত করতে অনুমতি না দেয়

প্রশ্ন: এক বোনের প্রশ্ন, তিনি বাবা-মার একমাত্র সন্তান এবং বাবা-মার বয়স হয়েছে। বিয়ের পর তার হাজবেন্ড যদি তাকে তার বাবা-মার খেদমত করতে না দেয় তবে বোনটির করণীয় কি?

উত্তর:
বিয়ের পূর্বে একজন মেয়ের জন্য আবশ্য হল তার পিতামাতার অনুগত্য ও সেবা-শুশ্রুষা করা। কিন্তু বিয়ের পর আনুগত্য করা আবশ্যক তার স্বামীর। এটাই ইসলামের বিধান।

তবে বিয়েরে পরও সে সময়-সুযোগ বুঝে যথাসম্ভব পিতামাতার খোঁজ-খবর নিবে এবং নিজস্ব অর্থ থেকে তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে অথবা স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে তার টাকা-পয়সা দ্বারা তাদেরকে সাহায্য করবে। সেই সাথে তাদের জন্য দুআ ও কল্যাণ কামনা করবে।

কিন্তু তাদের দেখতে যাওয়া বা তাদের সেবার জন্য সময় দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। তার অবাধ্যতা করে বা জোর পূর্বক বাবামাকে দেখতে যাওয়া বৈধ নয়। এটি তার গুনাহের কারণ হবে।

অবশ্য স্বামীর কতর্ব্য, স্ত্রীকে তার পিতামাতার সাথে দেখা করতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া। বিশেষ করে যদি তারা কষ্টে থাকে তাহলে এই কতর্ব্য ও দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়।

সুতরাং একজন বিবাহিত মহিলা স্বামীর সাথে সমঝোতা সাপেক্ষে যথাসাধ্য তার পিতামাতাকে দেখাশোনা করবে। তার নিষেধ অমান্য করে পিতামাতার সেবা করতে যাওয়া উচিৎ নয়।

স্বামী যদি তাকে তার বাবা মার সেবা-শুশ্রুষা করার অনুমতি না দেয় তাহলে এ নিয়ে স্ত্রী স্বামীর সাথে মতবিরোধে লিপ্ত হয়ে তার কথার অবাধ্যতা করা যাবে না বরং তাকে বুঝিয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করবে। কারণ ইসলামের বিধান অনুযায়ী বিয়ের পরে পিতামাতার চেয়ে স্বামীর আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আল্লাহু আলাম।
আল্লাহু তাওফিক দান করুন।

—আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল—