Islamic Questions & Answers In Bengali Language
প্রশ্ন: গত বছর আমি কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলাম। যার ফলে আমর ওজন অনেক কমে গিয়েছিল; ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতে আমি গোটা মাস রোযা রাখতে পারিনি। এ বছর আমি সে সব রোগ থেকে সুস্থ হয়েছি। কিন্তু আমার ওজন এখনও আগের মত আছে। আমার বাবা-মা এবং তাঁদের কাছের বন্ধুবান্ধব আমাকে রোযা না-রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। এ নিয়ে আমি তাঁদের …
প্রশ্ন: আমার একজন বান্ধবী আছে, সে মাইগ্রেন (এক ধরণের মাথাব্যাথ্যা) রোগের কারণে রোযা রাখে না। এটা কি জায়েয? সে যে দিনগুলোর রোযা ভেঙ্গেছে সে রোযাগুলো কিভাবে কাযা করবে? উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাআলার বাণী “আর যে ব্যক্তি অসুস্থ অথবা যে ব্যক্তি সফরে আছে সে ব্যক্তি অন্য দিনগুলোতে (রোযার) সংখ্যা পূরণ করবে।”[২ আল-বাক্বারাহ : ১৮৫] এর ভিত্তিতে …
প্রশ্ন: রমযানের রোযা না-রাখাকে বৈধকারী অজুহাতগুলো কি কি? উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য সহজীকরণ হচ্ছে, তিনি শুধুমাত্র তাদের উপর রোযা রাখা ফরয করেছেন যাদের রোযা রাখার সক্ষমতা আছে এবং শরিয়ত অনুমোদিত ওজরের ভিত্তিতে রোযা না-রাখাকেও বৈধ করেছেন। যেসব শরয়ি ওজরের কারণে রোযা না-রাখা বৈধ সেগুলো হচ্ছে: এক: রোগ: রোগ মানে হচ্ছে, …
প্রশ্ন: আমি ডায়াবেটিক্স এর রোগী; প্রতিদিন দুইবার ইনসুলিন নিতে বাধ্য। এ কারণে আমি রোযা রাখি না। নগদ অর্থ দিয়ে ফিদিয়া পরিশোধ করি। যে পরিমাণ অর্থ দিয়ে আমি ইফতার করি সে পরিমাণ অর্থ প্রদান করি। এ পদ্ধতিতে ফিদিয়া দেয়া কি জায়েয হবে, অর্থাৎ নগদ অর্থ দিয়ে? আমি বিবাহিত নই বিধায় রেস্টুরেন্টে ইফতার করি। আমি এই ফিদিয়া …
প্রশ্ন: আমি এমন একটি পাকস্থলির রোগে আক্রান্ত যে, আমার মুখে তরল পদার্থ জমলে পাকস্থলি থেকে খাদ্য বেরিয়ে আসে। রমযান মাসে আমার এমনটি ঘটেছে। আমাকে কি রোযার কাযা পালন করতে হবে? উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। যদি রোযাদারের পাকস্থলি থেকে কোন কিছু মুখে চলে আসে তাহলে রোযাদারের কর্তব্য হচ্ছে সেটা থু দিয়ে ফেলে দেয়া। যদি রোযাদার ইচ্ছাকৃতভাবে সেটা গিলে …
প্রশ্ন : প্রায় দেড় বছর ধরে আমার দাদী/নানী অসুস্থ। তাঁর হুঁশ নেই, তিনি কথা বলতে পারেন না এবং খাবারদাবারও চান না। যদি আমরা তাঁকে কোন খাবার দেই তবে তিনি খান। তাঁর সাথে কেউ কথা বললে তিনি কদাচিৎ তাকে চিনতে পারেন। তাঁর যা প্রয়োজন সেটাও তিনি আমাদেরকে বলেন না।[যেমন ধরুন তিনি বলেন না যে, আমি টয়লেটে …
প্রশ্ন : আমি বিমান একজন ক্রু। রমজান মাসে পশ্চিমের দুটো দেশের মধ্যে সফরকালে কিভাবে রোযা পালন করব যে ক্ষেত্রে ভ্রমণ দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যেহেতু আপনি বিমান ক্রু সেহেতু আপনি মুসাফির। সকল আলেম এ ব্যাপারে ইজমা (ঐক্যমত্য) পোষণ করেছেন যে, মুসাফিরের জন্য রমজান মাসে রোযা ভঙ্গ করা জায়েয; তার জন্য সিয়াম …
প্রশ্ন: আমি জেনেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ( ليس من البر الصوم في السفر) অর্থ- “সফর অবস্থায় রোজা রাখা নেকীর কাজ নয়”। এর মানে কি মুসাফির ব্যক্তি রোজা রাখলে সে রোজা সহিহ হবে না? উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ। এক: ইতোপূর্বে 20165 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সফর অবস্থায় রোজা রাখার তিনটি অবস্থা: ১. যদি রোজা …
প্রশ্ন: যদি কোন মুসলিম রমযান মাসে এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়; যে দেশদুটি ভিন্ন ভিন্ন দিনে রোযা রাখা শুরু করেছে সে ক্ষেত্রে তিনি কি করবেন? আলহামদুলিল্লাহ। কোন মুসলিম যদি কোন এলাকাবাসীকে রোযা অবস্থায় পান তাহলে তার উপর তাদের সাথে রোযা রাখা ফরয। কেননা এক্ষেত্রে আগন্তুক ব্যক্তির বিধান স্থানীয়দের অনুরূপ। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি …
প্রশ্ন: মুসাফিরের জন্য কখন রোযা ভঙ্গ করা হারাম? কারণসহ। উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। কুরআন-সুন্নাহ ও ইজমার দলিল প্রমাণ করছে যে, মুসাফিরের জন্য রমযানের দিনের বেলায় রোযা না-রাখা জায়েয। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “আর কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে।”[সূরা বাক্বারা, ২ : ১৮৫] আরও জানতে দেখুন 37717 নং প্রশ্নোত্তর। ফিকাহবিদগণ উল্লেখ করেছেন যে, ঐ মুসাফিরের জন্য রোযা না-রাখা বৈধ …