যাকাতুল ফিতর/ফিতরার সংক্ষিপ্ত বিধি-বিধান

🔸যাকাতুল ফিতর/ফিতরা দেয়ার হুকুম কি? ফরয।
🔸কার জন্য ফিতরা দেয়া ফরয? বাড়ির প্রতিটি সদস্য পুরুষ-নারী, বড়-ছোট সবার জন্য।
🔸ফিতরা দেয়ার দায়িত্ব কার? গৃহকর্তা নিজের ফিতরা দিবে এবং তার অধিনস্থ ব্যক্তিদের ফিতরা দিবে যাদের ভোরণ-পোষণ দেয়া তার জন্য ফরয।
🔸 কোন জিনিস দ্বারা ফিতরা প্রদান করা উচিৎ? প্রত্যেক দেশের প্রধান খাদ্যদ্রব্য। যেমন আমাদের দেশে, চাউল
🔸 পরিমাণ কত? এক ’সা তথা প্রায় দুই কেজি ৪০০ গ্রাম (চাল বা প্রাধান খাবার)। (অনেক আলেমের মতে ৩ কেজি দেয়া উত্তম)
▪ হাদিসে যেহেতু খাদ্যদ্রব্য দেয়ার কথা বলা হয়েছে তাই সুন্নত অনুসরণ করতে চাইলে খাদ্যদ্রব্য দিতে হবে। একান্ত অপরিহার্য পরিস্থিতি না হলে ফিতরার মূল্য বা টাকা দ্বারা ফিতরা দেয়া সুন্নত পরিপন্থী।
🔸 সময়: ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে। তবে দু/তিন দিন আগেও দেয়া জায়েজ।
🔸উদ্দেশ্য: ঈদের দিন গরিব-অসহায় মানুষের খাবারের ব্যবস্থা এবং রোজাদারকে অর্থহীন কাজ, অশ্লীলতা এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে পবিত্র করা।
🔸বণ্টনের খাত: গরীব-অসহায় মানুষ।

▪মাসায়েল:

🔹 প্রয়োজনে এক দেশে থেকে অন্য দেশে ফিতরা প্রেরণ করা জায়েজ।
🔹 একজনের ফিতরা একাধিক ব্যক্তিকে যেমন দেয়া জায়েয তদ্রূপ একাধিক ব্যক্তির ফিতরা প্রয়োজনে একজনকেও দেয়া জায়েয।
🔹 ঈদের দিনের নিজ পরিবারে খাওয়ার মত অর্থ-সম্পদ এবং ফিতরা দেয়ার সামর্থ থাকলে ফিতরা প্রদান করা আবশ্যক।
🔹 গর্ভস্থ সন্তানের ফিতরা দেয়া আবশ্যক নয় তবে দেয়া উত্তম।
▬▬▬▬💠🌀💠▬▬▬▬
গ্রন্থনায়:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব।
👉বিস্তারিত:
ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি