মেয়েদের নাম ‘জান্নাত’ রাখা যাবে কি?

প্রশ্ন: মেয়েদের নাম ‘জান্নাত’ রাখা যাবে কি?
▬▬▬▬◈◉◈▬▬▬▬
উত্তর:
সন্তানের সুন্দর ও অর্থবহ ইসলামি নাম রাখা পিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِنّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ
“কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের ও তোমাদের পিতার নাম নিয়ে। তাই তোমরা সুন্দর নাম রাখ।” [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস/৪৯৪৮, সহিহ ইবনে হিব্বান/৫৮১৮। ইমাম সাখাবী, ইমাম ইবনুল কাইয়েম, ইমাম নওবী সহ বহু মুহাদ্দিস
এ হাদিসের মান সম্পর্কে বলেছেন, إسناده جيد “এর সনদ ভালো।”]

ইসলামের দৃষ্টিতে হাদিসে নিষেধ কৃত অথবা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বা খারাপ অর্থ বহন করে এমন কোন নাম রাখা বৈধ নয়। এ ছাড়া যে কোন নাম রাখা জায়জ।

সুতরাং মেয়েদের নাম ‘জান্নাত’ রাখতে কোন আপত্তি নেই। কেননা অর্থগতভাবে এটি ইসলামি শরিয়ার সাথে সাংঘর্ষিক বা খারাপ অর্থ বোধক নয় বরং এ শব্দটি মুসলিমদের নিকট অত্যন্ত প্রিয় ও শ্রুতিমধুর শব্দ। তাছাড়া হাদিসে এ নামের ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞাও আসেনি।

➧ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফকিহ মহামান্য শাইখ সালেহ আল ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) কে প্রশ্ন করা হয় যে, আবরার, বাশায়ের, জান্নাত ইত্যাদি নাম রাখার শরয়ী বিধান কি?

তিনি বলেন, “এতে অসুবিধা নেই। যে সকল নাম কোন খারাপ অর্থ বহন করে না সেগুলো নাম রাখতে কোনও আপত্তি নাই।” (ইউটিউব চ্যানেল: أهل السنة والجماعة)

– আবরার অর্থ: সৎ, ন্যায় পরায়ণ, পুণ্যবান, সদাচারী, দানশীল।
– বাশায়ের অর্থ: সুসংবাদ,দীপ্তি, প্রভা,ঔজ্জ্বল্য, প্রফুল্লতা।
– জান্নাত অর্থ: বাগান, উদ্যান, বেহেশত।
▬▬▬▬◈◉◈▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।