মাথার চুল কেটে বা দাড়ি শেভ করে গোসল ছাড়াই যদি নামাজ আদায় করি তাহলে কি আমার নামাজ সহিহ হবে?

❑ প্রশ্ন: মাথার চুল কেটে বা দাড়ি শেভ করে গোসল ছাড়াই যদি নামাজ আদায় করি তাহলে কি আমার নামাজ সহিহ হবে?

উত্তর:
জানা প্রয়োজন যে, পুরুষদের জন্য দাড়ি কাটা, ছাঁটা বা শেভ করা কবিরা গুনাহ ও হারাম। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য।

যাহোক, কেউ যদি চুল, দাড়ি, মোচ ইত্যাদি কাটে, ছাঁটে বা বা মুণ্ডন করে তাহলে তাতে শরীর নাপাক হয় না। কুরআন-সুন্নায় কোথাও বলা হয় নি যে, চুল-দাড়ি কাট-ছাঁট বা মুণ্ডণ করলে শরীর নাপাক হয়।
সুতরাং এ কারণে গোসল করা আবশ্যক নয়। কিন্তু সালাত পড়তে চাইলে সাধারণভাবে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করার পর ওজু করে নিতে হবে। তাহলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।

তবে যদি স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ বা বীর্যপাত হওয়ার করণে কারও গোসল ফরজ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই গোসল করতে হবে। অন্যথায় শরীর পবিত্র হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا
“যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে (গোসলের মাধ্যমে) পবিত্র হয়ে নাও।” (সূরা মায়িদা: ৬)

মোটকথা, চুল, মোচ, দাড়ি ইত্যাদি কাট-ছাট বা মুণ্ডণের পর গোসল করা ছাড়াও যদি কেউ শুধু ওজু করে সালাত আদায় করে তাহলে তা সহিহ হবে ইনশাআল্লাহ। তবে গোসল করার মাধ্যমে অথবা ভালোভাবে ধৌত করার মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা নি:সন্দেহে উত্তম ও স্বস্তিদায়ক।

❑ প্রশ্ন: হিন্দু নাপিত যদি চুল কেটে দেয় আর যদি গোসল না করি তাহলে কি সালাত হবে?
উত্তর:
চুল কাটলে গোসল ফরজ হয় না। চাই তা হিন্দু নাপিত কাটুক আর মুসলিম নাপিত কাটুক। তবে চুল কাটার পর মাথায় বা শরীরে কিছু চুল লেগে থাকে। এটা অপরিচ্ছন্নতা ও অস্বস্তিকর কারণ। তাই চুল কাটার পর গোসল করে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা ভালো। কিন্তু ‘গোসল না করলে সালাত হবে না’ এ কথা সঠিক নয়।
আল্লাহু আলাম।
——————
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।