জালালুদ্দীন রূমী এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

প্রশ্ন: জালালুদ্দিন রূমী কে ছিলেন? তার সম্পর্কে জানতে চাই।

উত্তর:
পুরো নাম: মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ হুসাইন আল বালখী
ফারসি ভাষায় তিনি জালালুদ্দীন বালখী বা রুমি নামে পরিচিত।
জন্ম: ১২০৭ খৃষ্টাব্দ
মৃত্যু: ১২৭৩ খৃষ্টাব্দ

🔰জন্মস্থান: খোরাসানের বালখ নগরী (বর্তমানে আফগানিস্তান)
🔰 মাজহাব: হানাফি মাজহাবের অনুসারী।
🔰 আকীদা: সুফি আকীদায় বিশ্বাসী ছিলেন।

🌀 তার কতিপয় আকীদা-বিশ্বাস:

 বাদ্যযন্ত্র, কবিতা ও যিকর করাকে আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য নিশ্চিত উপায় হিসেবে মনে করতেন।
বাজনাকে তিনি রূহানী খোরাক বলতেন।
পীর মুরীদিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলতেন, মুরিদ যখন গভীর ভাবে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন হয় তখন সে আল্লাহর মাঝে বিলীন হয়ে যায়। বিলীন হওয়ার পর সম্পূর্ণ নতুন রূপে ফিরে আসে। আর বাদ্য যন্ত্র তাকে এ কাজে সাহায্য করে। এমনকি বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে চক্রকারে নৃত্য করতেন।
ইহুদী, খৃষ্টান, মুসলিম সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখতেন।
বলতেন, মানুষ যখন আধ্যাত্মিক গান-বাজনার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জগতে পাড়ি জমায় তখন ক্রমান্বয়ে সে পূর্ণতার স্তরে পৌঁছে যায়।
আর চক্র নৃত্যের মাধ্যমে তার মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি হয়। ফলে সে নিজের আমিত্বকে ভুলে গিয়ে আরও পূর্ণ ও মজবুত হয়ে ফিরে আসে। তারপর থেকে সে কোন ব্যক্তি স্বার্থ বা ভেদাভেদ হীন ভাবে মানুষের সেবায় আত্ম নিয়োগ করে।

📚 তার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ কিতাব হচ্ছে: মসনবি, (ফারসী ভাষায় রচিত) যাকে সুফি ভাবধারার লোকেরা পবিত্র গ্রন্থ হিসেবে গণ্য করে।
এটি সুফি আকীদায় ভরপুর একটি কবিতার বই।

 তার সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন (আরবী ভাষা):
https://goo.gl/SvG1di

💥 আজব হলেও সত্য:

এই জালালুদ্দীন রূমী আমাদের দেশের হক ও হক্কানিয়াতের দাবিদার একশ্রেণীর আলেম ও বক্তার নিকট অত্যন্ত সম্মানিত ও অনুসরণীয় ব্যক্তি। এরা এদের ওয়াজ মাহফিল ও বক্তৃতায় রূমির কবিতা কত জোশ ও মহাব্বতের সাথে আবৃতি করে তা কারো অজানা নয়। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথ দেখান এবং ক্ষমা করুন। আমীন।
••••••••••••••••
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব