কোন ভির্ভোসি মেয়ে বিয়ে করতে না চাইলে তার কীভাবে চলাফেরা করা উচিত

প্রশ্ন: কোন ভির্ভোসি মেয়ে বিয়ে করতে না চাইলে তার কীভাবে চলাফেরা করা উচিত?▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: কোন তালাক প্রাপ্তা অথবা বিধবা নারী যদি বিয়ে না করার কারণে জৈবিক চাহিদার ক্ষেত্রে হারাম কার্যক্রম ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না করে তাহলে তার জন্য পুনরায় বিয়ে করা আবশ্যক নয়‌। কিন্তু পাপাচারে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে পাপ থেকে বাঁচার স্বার্থে অথবা নিজের জীবনকে অনিরাপদ ভাবলে নিরাপত্তার স্বার্থে বিয়ের চেষ্টা করা কর্তব্য। যাহোক, কোন তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা নারী যদি বিয়ে করতে না চায় তাহলে সব ধরনের পাপাচার থেকে বিরত থাকবে, পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলবে, মাহরাম-নন মাহরাম মেইনটেইন করবে, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাবে না, জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলে আতর-সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে, প্রয়োজন ব্যতিরেকে কোন পর পুরুষের সাথে কথা বলবে না বা দেখা করবে না, জরুরি প্রয়োজনে এমন কারো সাথে কথা বলতে হলে কোমল কন্ঠ, হাসি-মজাক ইত্যাদি পরিহার করবে। কোন অবস্থাতেই পরপুরুষের সাথে নির্জনে যাবে না বা তার ঘরে প্রবেশের অনুমতি দিবে না‌। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নিজ গৃহ ব্যতিরেকে অন্য কারো বাড়িতে রাতযাপন করবে না এবং নন মাহরাম ব্যতিরেকে দূরে কোথাও সফরে যাবে না। সর্বোপরি, ফেতনা থেকে দূরে থাকবে এবং তার প্রতি পর পুরুষের লোলুপ দৃষ্টির ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকবে। কারণ একজন স্বামীহীনা নারী অসৎ চরিত্রের লোকদের কুদৃষ্টিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তৎসঙ্গে সালাতের প্রতি যত্নশীল থাকবে, নফল সালাত, সিয়াম ইত্যাদি অধিক পরিমাণে পালনের চেষ্টা করবে, ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন অব্যাহত রাখবে, যথাসাধ্য বাড়িতে স্থানীয় মহিলাদের তালিমের ব্যবস্থা করবে। প্রয়োজন বোধে ফিতনা মুক্ত ও হালাল পন্থায় নিজের জীবন পরিচালনার জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারে।

মোটকথা, স্বামী-সন্তান এবং পারিবারিক দায়িত্ব ও চাপ মুক্ত অবস্থায় একজন স্বামী পরিত্যাক্তা বা বিধবা নারী ইচ্ছা করলে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া ওয়া তায়ালার নৈকট্য অর্জন করে জান্নাতে যাওয়ার পথ তৈরি করে নিতে পারে। এটি তার জন্য বিশাল সুযোগ।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।
▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।