কেউ যদি যাকাতুল ফিতর খাদ্যদ্রব্য নিতে না চায় (টাকা নিতে চায়) তাহলে আমাদের করণীয় কি?

প্রশ্ন: কেউ যদি যাকাতুল ফিতর খাদ্যদ্রব্য নিতে না চায় (টাকা নিতে চায়) তাহলে আমাদের করণীয় কি?
উত্তর:
অধিক বিশুদ্ধ মতে, দেশের প্রচলিত প্রধান খাদ্যদ্রব্য (যেমন: আমাদের দেশে চাল)। তাই চাল দ্বারা ফিতরা আদায় করা সুন্নত। এ ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা (যেমন: মাছ, মাংস, সবজি, ডাল, চিনি, মসলা, সেমাই, গুড়া দুধ, টাকা, জামা-কাপড় ইত্যাদি) ফিতরা দেয়া সুন্নত সম্মত নয়। অনেক আলেমের মতে এতে ফেতরা আদায় হবে না। (যদিও আমাদের দেশে টাকা দিয়ে ফেতরা দেয়ার ফতোয়া প্রচলিত রয়েছে)।
সুতরাং সুন্নত পালনার্থে চাল দ্বারা ফিতরা দিবেন। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ। বিশেষ করে যখন কোনও বিষয়ে দ্বিমত দেখা যায় তখন সবচেয়ে নিরাপদ ও আপত্তি মুক্ত অভিমতটি গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ চাল দ্বারা ফেতরা দেয়া জায়েজ-এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নাই।
যাহোক, কোন গরিব মানুষ যদি চাল নিতে না চায় তাহলে তাকে জোর করে দেয়ার প্রয়োজন নাই। বরং যে নিচে চায় তাকে দিবেন। আমাদের সমাজে একটু খোঁজ নিলে এমন অনেক অসহায় মানুষ পাবেন যাদের বাড়িতে দুমুঠো খাবার নাই। বহু কষ্টে জীবন যাপন করে। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন অসহায় মানুষের সংখ্যাটা প্রচুর।

এ ক্ষেত্রে আরেকটা পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। তা হল, আপনার পরিবারের সকলের বা কয়েকজন ব্যক্তির ফেতরার চাল জমা করে (২০/৩০ কেজি যা হোক না কেন) এলাকার কোন বিধবা, গরিব-অসহায় মানুষের বাড়িতে বা কোনও এতিমখানায় দিয়ে আসবেন অথবা তাদেরকে নিয়ে যেতে বলবেন। এমনটি করলে আশা করা যায়, তারা ফেরত দিবে না বা প্রত্যাখান করবে না।
পাশাপাশি সম্ভব হলে তাদেরকে আলাদাভাবে কিছু অর্থ দান করবেন সাধারণ সদকা হিসেব; ফিতরা হিসেবে নয়। অথবা টাকা দিয়ে সম্পদের জাকাত দিবেন। যেন তারা টাকা দ্বারা খাদ্য ছাড়া তাদের অন্যান্য প্রয়োজন পূরণ করতে পারে।
আল্লাহু আলাম।
-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।