আল্লাহর নামের জিকির করার সঠিক পদ্ধতি

শুধু ‘আল্লাহ আল্লাহ’ শব্দে অথবা ‘ইয়া রাহমান, ইয়া রাহিম, ইয়া গাফূরু ইত্যাদি বলে জিকির করা বিদআত: আল্লাহর নামের জিকির করার সঠিক পদ্ধতি

প্রশ্ন: আল্লাহর বিশেষ কোন নাম ধরে কি তাঁর জিকির করা জায়েজ আছে? যেমন: মানুষ বলে, ‘আল্লাহ আল্লাহ’ অথবা ‘ইয়া গাফূরু, ইয়া গাফূরু’ ইত্যাদি বলে জিকির করা।
আমি জানি, ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলা বিদআত। কিন্তু ‘হা’ অক্ষরে পেশ দিয়ে ‘আল্লাহু আল্লাহু’ বলার হুকুম কী?

উত্তর: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যে। ‘আল্লাহ’ শব্দ দ্বারা জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করতে চাইলে এই ইবাদতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হেদায়েত কি ছিল তা আমাদের জানা দরকার। যেমনটি অন্যান্য ইবাদতের নিয়মও জানা দরকার। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নতে জিকির ও দুয়ার ক্ষেত্রে শুধু ‘আল্লাহ’ শব্দ ব্যবহারের কোন প্রমাণ নেই। চাই আল্লাহ শব্দের ‘হা’ অক্ষরে পেশ দিয়ে হোক বা জযম দিয়ে হোক-কোন প্রমাণ নেই।

অনুরূপভাবে শুধু আল্লাহর সুন্দর নামগুলো ধরে তাঁকে ডাকারও কোন দলিল নেই। যেমন: মানুষ বলে থাকে, ইয়া লাতীফু ইয়া লাতীফু, অথবা ইয়া গারফূরু ইয়া গাফূরু.. ইত্যাদি।
তাছাড়া এ ধরণের জিকিরগুলোকে অর্থবোধক বাক্য বা কথা বলা হয় না। আর এতে উপকারী কোন অর্থও প্রকাশ পায় না।
এটা একক শব্দ যাতে কোন উপকার পাওয়া যায় না। কেননা এই নামগুলো উল্লেখ করে ডেকে যদি কোন আবেদন বা প্রার্থনা পেশ না করা হয়, তবে এই ডাকটাই অনর্থক হয়ে যায়।

শাইখ সালেহ ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, এটা বিদআত।

নামাজের পর বা বিশেষ কোন সময়ে আল্লাহর নাম সমূহ জিকির করা এবং তার অভ্যাস গড়ে তোলা বিদআত। যেমন: ইয়া লাতীফু,ইয়া লাতীফু বা এরকম কোন নাম বিশেষ সংখ্যা ও বিশেষ পদ্ধতিতে জিকির করা। এগুলো ইসলামে সবই নতুন সৃষ্টি তথা বিদআত।
উত্তম হেদায়েত হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হেদায়েত। আর নিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে এই দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। প্রত্যেক বিদআতই হচ্ছে ভ্রষ্টতা। [আল মুনতাকা মিন ফাতাওয়া ফাওযান, ২/৮]
তাই যখন বলবে:
– ‘ইয়া আল্লাহ ইরহামনী’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাকে দয়া কর।
– ‘ইয়া গাফূরু ইগফির লী’ অর্থাৎ হে ক্ষমাশীল, আমাকে ক্ষমা কর।
– ‘ইয়া রাযযাকু উরযুকনী’ হে রিজিক দাতা, আমাকে রিজিক দান কর। তখন তা হবে অর্থবোধক বাক্য এবং সেটা বৈধ জিকির।
▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬

অনুবাদক: শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাফী মাদানি রাহ.
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল। দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।