প্রশ্ন:
( لا يرفع صوم رمضان حتى تعطى زكاة الفطر)
(অর্থ- সদাকাতুল ফিতর না দেয়া পর্যন্ত রমযানের রোযা উত্তোলন করা হয় না) এ হাদিসটি কি সহিহ? যদি কোন রোযাদার মুসলিম নিজেই অস্বচ্ছল হন এবং যাকাতের নিসাবের মালিক না হন; এ হাদিসের শুদ্ধতার কারণে কিংবা সুন্নাহভিত্তিক অন্য কোন সহিহ শরয়ি দলিলের কারণে তার উপরেও কি সদাকাতুল ফিতর দেয়া ওয়াজিব হবে?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
ঈদের রাত ও ঈদের দিনে যার কাছে তার নিজের ও তার দায়িত্বে যাদের পোষণ অর্পিত তাদের খাদ্যের অতিরিক্ত এক সা’ বা তদুর্ধ পরিমাণ খাবার থাকে তার উপর সদাকাতুল ফিতর ফরয। দলিল হচ্ছে এ বিষয়ে ইবনে উমর (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত হাদিস তিনি বলেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক স্বাধীন-ক্রীতদাস, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় মুসলমানের উপর যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা ফরজ করেছেন: এক সা’ পরিমাণ খেজুর কিংবা যব। মানুষ ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তিনি তা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম, ভাষ্যটি সহিহ বুখারীর]
আরেকটি দলিল হচ্ছে- আবু সা‘ঈদ আলখুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিস তিনি বলেন: “আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়ে যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) হিসেবে এক সা’ খাদ্যদ্রব্য অথবা এক সা’ খেজুর অথবা এক সা’ যব অথবা এক সা’ কিসমিস অথবা এক সা’ পনির প্রদান করতাম।”[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম]
দেশীয় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফিতরা আদায় করলেও জায়েয হবে; যেমন- চাল বা এ জাতীয় অন্য কিছু।
এখানে সা’ বলতে উদ্দেশ্য হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সা’। উক্ত সা’ এর পরিমাণ ছিল- একজন সাধারণ গড়নের মানুষের দুই হাতভর্তি চার কোষ।
যদি কেউ যাকাতুল ফিতর আদায় না করে সে গুনাহগার হবে এবং কাযা আদায় করা তার উপর ফরজ হবে।
পক্ষান্তরে, আপনি যে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন আমরা এর শুদ্ধতা সম্পর্কে কিছু জানি না।
আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি আপনাকে তাওফিক দিন, আমাদেরকে ও আপনাদেরকে নেক কথা ও কাজ করার সামর্থ্য দেন।
আল্লাহ তাওফিকদাতা।