প্রশ্ন: সঠিক সময় না জানার কারণে কেউ যদি সেহেরির সময় শেষ হওয়ার পর পানাহার করে তাহলে তার রোজাটি কি শুদ্ধ হবে?▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: উক্ত রোজাটি কি শুদ্ধ হবে না কি তা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং তার পরিবর্তে আরেকটি রোজা রাখা আবশ্যক -এ বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। একই কথা ইফতারের ক্ষেত্রেও।
সবচেয়ে নিরাপদ হল, উক্ত রোজার পরিবর্তে আরেকটি রোজা রাখা। বরং জুমহুর (অধিকাংশ আলেম) এর মত হল, আরেকটি রোজা রাখা অপরিহার্য।
দেখুন নিম্নোক্ত হাদিসটি:
আসমা বিনতে আবু বকর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
أفطَرنا علَى عَهدِ رسولِ اللَّهِ صلَّى اللَّهُ عليهِ وسلَّمَ في يومِ غَيمٍ ثمَّ طلَعتِ الشَّمسُ
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে আমরা একদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় ইফতার করে ফেললাম। ইফতার করার পরে (মেঘের আড়াল থেকে) সূর্য উদিত হল।”
قِيلَ لِهِشَامٍ فَأُمِرُوا بِالْقَضَاءِ قَالَ لَا بُدَّ مِنْ قَضَاءٍ وَقَالَ مَعْمَرٌ سَمِعْتُ هِشَامًا لَا أَدْرِي أَقَضَوْا أَمْ لَا
“হিশাম বিন উরওয়াকে জিজ্ঞেস করা হল, তাদেরকে কি ঐ রোজটি কাজা করার আদেশ করা হয়েছিল?
তিনি বললেন, “তা তো অবশ্যই কাজা করতে হবে।” মা’মার (বিন রাশেদ) বলেন, হিশাম কে বলতে শুনেছি, ”তারা কাজা করেছিল কিনা তা আমি জানি না।” [সহীহ বুখারী, কিতাবুস সওম]
সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফাতহুল বারিতে ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী বলেন,
وقد اختلف في هذه المسألة فذهب الجمهور إلى إيجاب القضاء، واختلف عن عمر فروى ابن أبي شيبة وغيره من طريق زيد بن وهب عنه ترك القضاء،
“এই মাসআলায় দ্বিমত সৃষ্টি হয়েছে। জুমহুর বা অধিকাংশের মত হল, তা কাজা করা আবশ্যক। তবে উমর রা. তা কাজা করার বিপক্ষে মত দেন। (যায়েদ বিন ওয়াহাবের সূত্রে ইবনে শায়বায় বর্ণিত)।
সুতরাং অজ্ঞতা বশত: সেহেরির সময় শেষ হওয়ার পরেও পানাহার করার (অনুরূপভাবে সূর্য ডোবার পূর্বে ইফতার করার) মাসআলায় বলব, মতবিরোধ থেকে বাঁচার জন্য উক্ত রোজাটি পরবর্তীতে কাজা করে নেওয়াই অধিক নিরাপদ। আল্লাহু আলাম।
▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।