প্রশ্ন: শুধু দেখার উদ্দেশ্যেে কি মাযারে যাওয়া যাবে? মাযার যে হারাম তার প্রমাণ কি? ছেলে-মেয়ে এক সাথে শিক্ষা সফর এর জন্য কি মাজারে যাওয়া যাবে যদি তা কেবল দেখার উদ্দেশ্যে হয়?
মাযার তৈরি করা যে হারাম তার দলীল কি?
উত্তর:
আমাদের জানা আবশ্যক যে, কবরের উপর ভবন নির্মান, তাতে চুন করা, চাদর চড়ানো, কবরের উপর শামিয়ানা লাগানো, ফুল দেয়া, কবরকে জাঁকজমক করে সাজানো, তাতে আগরবাতী, মোমবাতি জ্বালানো ইত্যাদি সব বিদআত ও হারাম কাজ।
আমাদের সমাজে প্রচলিত এ ধরণের কবরকেই মাযার নাম দেয়া হয়েছে। এখানে রাতদিন অসংখ্য শিরক ও বিদআতী কার্যক্রম সংঘটিত হয়।
অনেক মানুষ সেখানে কবরকে সেজদা করে, কবরের দেয়াল ধরে বরকত লাভের উ্দ্দেশ্যে শরীরে হাত বুলায়, কবরে মানত করে, রোগ-ব্যাধী, সন্তানলাভ, মনোবাসনা পুরণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে কথিত ‘ওলী’কে ওসীলা করে দুআ করে, কবরের ‘ওলী’র উদ্দেশ্যে পশু জবেহ করে এগুলো সব শিরক কাজ।
অনেক দর্গা ও মাযারে বার্ষিক উরসের নামে মদগাজার আসর বসে। চলে নারীপুরুষদের নাচানাচি আর গানবাজনা। এগুলোর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই। এগুলো মূলত: শয়তানের সরাসরি তত্ববাধানে পরিচালিত কার্যক্রম। সুতরাং কোন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মুসলিমের জন্য এগুলোতে অংশ গ্রহণ করা বা সেখানে আনন্দলাভ করার উদ্দেশ্যে যাওয়া কিভাবে শোভনীয় হতে পারে?
তাহলে দেখা যাচ্ছে, আমাদের সমাজে প্রচলিত মাযারগুলো শিরক, বিদআত আর অন্যায়-অপকর্মের আস্তানা। সুতরাং কোন তাওহীদপন্থী মুমিনের জন্য শিরক-বিদআত আর অন্যায়-পাপকর্মের আস্তানা থেকে দুরে থাকা আবশ্যক।
তবে কেউ যদি স্বচক্ষে এ সব কথিত মাযার দেখে শিরক-বিদআত সম্পর্কে জ্ঞানার্জন বা মানুষকে সর্তক করার জন্য সেখানে যায় তাহলে জায়েয রয়েছে। এমনি দর্শন করতে যাওয়া উচিৎ নয়।
ছেলেমেয়ে একসাথে কোথাও শিক্ষা সফরে যাওয়া জায়েয নেই। সুতরাং তাও যদি হয় তা মাযারে তাহলে তা কিভাবে বৈধ হতে পারে?
——————
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব