শরিয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ পন্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি

প্রশ্ন: অনেকে অবৈধ পথে মেডিক্যাল/বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স নেয়। এখন এখানে পড়াশোনার কারণে সেখানকার কোনও জিনিস ব্যবহার করার কারণে কি সে প্রতিনিয়ত পাপ করছে?

উত্তর:
স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে উৎকোচ প্রদান, ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অন্য কোনও কুট কৌশল ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করা হারাম। কেননা ইসলামের দৃষ্টিতে ধোঁকাবাজি, প্রতারণা ও মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হারাম। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
« مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا »
“যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয় সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” (সহিহ মুসলিম: ১০১) অর্থাৎ সে ইসলামের আদর্শ থেকে বিচ্যুত।
ভর্তি অযোগ্য কোন শিক্ষার্থী যদি এভাবে ভর্তি হয় তাহলে সে অন্য একজন যোগ্য শিক্ষার্থীকে তার ভর্তি হওয়ার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করল। ফলে অবৈধ পন্থা অবলম্বন এবং অন্যের অধিকার হরণ করার কারণে তাকে গুনাগার হতে হবে-এতে কোনও সন্দেহ নাই।
তাছাড়া এটি প্রচলিত আইনেও একটি অপরাধ। কারও ব্যাপারে ভর্তি জালিয়াতি প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করা বা ও তার বিরুদ্ধে আইনগত নানা শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

যাহোক, কেউ এভাবে ভর্তি হওয়ার পর যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পড়াশোনা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার, ল্যাব বা বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে তাহলে সে প্রতিনিয়ত গুনাহগার হবে-এমনটি নয়। কেননা এসব জিনিস মূলত: শিক্ষার্থীদের জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতারণা ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার কারণে অনতিবিলম্বে আল্লাহর নিকট তওবা করা জরুরি। আল্লাহু আলাম।
-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল-

Share: