প্রশ্ন: যদি কোন মুসলিম রমযান মাসে এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়; যে দেশদুটি ভিন্ন ভিন্ন দিনে রোযা রাখা শুরু করেছে সে ক্ষেত্রে তিনি কি করবেন?
আলহামদুলিল্লাহ।
কোন মুসলিম যদি কোন এলাকাবাসীকে রোযা অবস্থায় পান তাহলে তার উপর তাদের সাথে রোযা রাখা ফরয। কেননা এক্ষেত্রে আগন্তুক ব্যক্তির বিধান স্থানীয়দের অনুরূপ। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “রোযা হচ্ছে যেদিন তোমরা সকলে রোযা রাখ। ঈদুল ফিতর হচ্ছে যেদিন তোমরা সকলে রোযা ভাঙ্গ। আর ঈদুল আযহা হচ্ছে যেদিন তোমরা সকলে কোরবানী কর।” [সুনানে আবু দাউদ, হাদিসটির সনদ ‘জায়্যিদ’। সুনানে আবু দাউদে ও অন্যান্য হাদিসের গ্রন্থে এ হাদিসের সমর্থনকারী আরও হাদিস রয়েছে]
ধরে নিই, এক ব্যক্তি যে দেশে রোযা রাখা শুরু করেছে সে দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়েছে; তাই এ ব্যক্তির রোযা অব্যাহত রাখা ও ঈদ করার ক্ষেত্রে তিনি যে দেশে স্থানান্তরিত হয়েছে সে দেশবাসীর বিধান প্রযোজ্য। তিনি তাদের সাথেই ঈদ পালন করবেন; এমনকি ঐ দেশবাসী যদি তিনি যে দেশ থেকে এসেছেন সে দেশের আগে ঈদ পালন করে সেক্ষেত্রেও। তবে, এক্ষেত্রে তার রোযা যদি ২৯টি পূর্ণ না হয় তাহলে একদিনের রোযা কাযা করা তার উপর আবশ্যক হবে। কেননা কোন মাসের দিন সংখ্যা ২৯ এর কম হয় না।