➰ বিয়ের উদ্দেশ্য হল, হালাল পন্থায় জৈবিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে পবিত্র জীবন গঠন করা এবং সন্তান-সন্ততি জন্ম দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর জমিন আবাদ রাখা।
➰ হাদিসে বিবাহকে দ্বীনের অর্ধেক বলা হয়েছে। সুতরাং দ্বীনের পূর্ণাঙ্গতা, চারিত্রিক পবিত্রতা এবং মানব জাতির ধারাবাহিকতার বজায় রাখার মাধ্যমে পৃথিবী আবাদ করার স্বার্থে বিয়ের উপযুক্ত হলে অনতি বিলম্বে বিয়ে করা কর্তব্য।
➰ আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা যেন বিয়ের উপযুক্ত হলে বিয়ে করে নেয়।
অতএব, বিয়ের পূর্বে এমন কোনো শর্তারোপ করা ঠিক নয় যা আল্লাহ এবং তার রাসূল নির্ধারণ করেন নি।
➰ মানুষ সাধারণত: বিয়ের পর নিজেদের মত করে দাম্পত্য জীবন সাজিয়ে নেয়। বিয়ের পূর্বে মানুষ কত কিছু চিন্তা করে কিন্তু বাস্তব জীবনে পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে এ সব চিন্তা ও ইচ্ছা সব বাস্তবায়িত হয় না অথবা যা চিন্তা করে বাস্তবে তার চেয়ে ভালো কিছু হয়।
➰ বিয়ের পর স্বামীর কর্তব্য হবে, স্ত্রীর বৈধ ইচ্ছাগুলো যথাসম্ভব পূরণ করা। অনুরূপভাবে স্ত্রীরও কর্তব্য হবে, স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনকে তার জান্নাতের যাওয়ার কারণ মনে করে তার আনুগত্যের জন্য প্রস্তুত থাকা।
➰ পারিবারিক সিদ্ধান্ত গুলো পারষ্পারিক সমঝোতা ও পরামর্শের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
➰ ভালবাসা পূর্ণ দাম্পত্যের স্বার্থে কখনো কখনো নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ছাড় দিতে হয়। স্বামী স্ত্রী প্রত্যেকেই প্রত্যেকেকে সুখী করার সর্বাত্তক চেষ্টা করবে। উভয় উভয়ের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখবে। উভয়ে উভয়ের প্রাপ্য ও হক আদায়ের প্রতি যত্নশীল হবে। সেই সাথে গোঁড়ামী, হঠকারিতা, স্বেচ্ছাচারিতা, অহংকার ইত্যাদি খারাপ চরিত্র থেকে দুরে থাকবে এবং তাদের পারষ্পারিক সুসম্পর্ক ও ভালবাসা পূর্ণ দাম্পত্য জীবনের জন্য যা যা করলে উভয়ে উপকৃত হবে এবং কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না তারা তাই করবে। তাহলে ইনশাআল্লাহ তাদের জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর, মধুময় ও ভালবাসার রঙ্গে রঙ্গীন।
➰ সুতরাং বিয়ের পূর্বে কোন ধরণের শর্ত জুড়ে দিয়ে বিয়েকে বাধাগ্রস্ত করা বা বিলম্বিত করা মোটেও উচিৎ নয় বলে মনে করি।
—-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল——