বিদআতীর সাথে কি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ?

প্রশ্ন: কোন বিদআতীর সাথে কি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ?
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর:
জানা আবশ্যক যে, সকল বিদআত এক পর্যায়ের নয়। কিছু আছে শিরক ও কুফরি পর্যায়ের জঘন্য বিদআত আর কিছু আছে তুলনা মূলকভাবে হালকা বিদআত-যা কুফুরি পর্যায়ের নয়। সুতরাং সকল বিদআতির হুকুম এক নয়।

নিম্নে ব্যাখ্যা প্রদান করা হল:

কোন ব্যক্তি যদি কুফুরি ও শিরকি পর্যায়ের বিদআতে লিপ্ত থাকে তাহলে তার সাথে কোন মুমিন নারী/পুরুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয নাই।
যেমন, কেউ যদি বিশ্বাস করে নবী বা অলিরা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সব কিছু জানেন, হুলুল তথা আল্লাহ সৃষ্টি জগতের সাথে একাকার হওয়ার বিশ্বাস পোষণ করে, আবু বকর রা. উমর রা. উসমান রা. কে গালাগালি করে (যেমন শিয়া সম্প্রদায়), কুরআন আল্লাহর সৃষ্টি বলে বিশ্বাস করে ইত্যাদি।
এগুলো কুফুরী পর্যায়ের বিদআত। কোন ব্যক্তি যদি এ ধরণের আকীদায় বিশ্বাসী হয় তাহলে তার সাথে কোন ঈমানদার পুরুষ অথবা নারীর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ নয়।

পক্ষান্তরে যদি সে ব্যক্তি কুফরি পর্যায়ের বিদআতে লিপ্ত না থাকে তাহলে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে এবং যথাসম্ভব পরবর্তীতে তাকে সংশোধনেরে চেষ্টা করতে হবে।
যেমন, নামাযের পরে সম্মিলিত মুনাজাত, উচ্চ আওয়াজে জিকির করা, মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত বলা, মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে শবিনাখানি করা, ঈদে মীলাদুন্নবি উদযাপন করা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নূরের সৃষ্টি মনে করা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খাওয়া ইত্যাদি। এগুলো কুফুরী পর্যায়ের বিদআত নয়।
দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞতা, কুরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যার শিকার ইত্যাদি কারণে অনেক মানুষ ধরণের বিদআতি কর্মকাণ্ড লিপ্ত থাকে।

সুতরাং যদি সহিহ আকিদাধারি কোন বিবাহযোগ্য পাত্র/পাত্রী না পাওয়া যায় তাহলে উপরোক্ত বিদআতি আকীদায় বিশ্বাসী ব্যক্তিকে বিবাহ করা জায়েয রয়েছে ইনশাআল্লাহ। তবে বিবাহের পর যথাসাধ্য তাকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করার চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমীন। আল্লাহু আলাম
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA

Share: