উত্তর:
কাবা ঘরের তওয়াফ করার সময়, কেবল রোকনে ইয়ামেনী এবং হাজরে আসওয়াদ এর মাঝামাঝি স্থানে এ দুআটি পড়া হাদিস সম্মত:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল আখিরাতে হাসাতাওঁ ওয়া কিনা আযাবান্নার।
“হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদেরকে রক্ষা করো জাহান্নামের আগুন থেকে।” (সূরা বাকারা: ২০১)
এ ছাড়া অন্য চক্করে বিশেষ কোনো দুআ হাদিসে বর্ণিত হয় নি। সুতরাং এ অবস্থায় যে কোন দুআ পাঠ করা যায়। বাংলায়ও দুআ করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন তাসবীহ, যিকির, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদিও শরীয়ত সম্মত।
কিছু কিছু হজ্জ শিক্ষার বইয়ে প্রথম চক্করে এই দুআ, ২য় চক্করে এই দুআ….ইত্যাদি বিভিন্ন দুআ লেখা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো নির্দিষ্ট করার কোন মানে হয় না। কারণ এগুলো হাদিসে বর্ণিত দুআ নয়। সুতরাং এগুলোকে নির্দিষ্ট করা বিদআতের অন্তর্ভুক্ত।
অনুরূপভাবে সাফা এবং মারওয়ার মাঝখানে বিশেষ কোন দুআ বর্ণিত হয় নি। সুতরাং এখানেও যে কোো দুআ, তাসবীহ, যিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদি করা যায়।
আল্লাহু আলাম
—–আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল——