প্রশ্ন: ‘আখেরি চাহার শোম্বা’ কী? এ দিন কি বিশেষ কোনও ইবাদত-বন্দেগি বা বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে?
উত্তর: নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা পেশ করা হলো: وبالله التوفيق
❑ ‘আখেরি চাহার শোম্বা’ বলতে কী বুঝায়?
‘আখেরি চাহার শোম্বা’ একটি আরবি ও ফার্সি শব্দ যুগল। এর আরবি অংশ আখেরি। যার অর্থ, শেষ এবং ফার্সি অংশ চাহার শোম্বা। যার অর্থ, বুধবার। হিজরি সালের সফর মাসের শেষ বুধবারকে আমাদের ভারত উপমহাদেশে ‘আখেরি চাহার শোম্বা’ হিসেবে পালন করা হয়।
মূলতঃ এ দিবসটি আমাদের দেশে ‘শুকরিয়া দিবস’ হিসাবে পালিত হয়; যাতে সাধারণত গোসল করে দু রাকাত শোকরানা নফল নামাজ আদায় শেষে রোগ থেকে মুক্তির দোয়া ও দান-খয়রাত করা হয়। বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, দরবার, খানকায় ওয়াজ-নসিহত, জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল, দুআও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এই দিনটি পালন উপলক্ষে। এদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে বন্ধ রাখার পাশাপাশি অফিস-আদালতে ঐচ্ছিকভাবে ছুটির দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
কিন্তু এগুলো সব দ্বীনের মধ্যে নব আবিষ্কৃত ভিত্তিহীন বিদআতি কাজ যার পক্ষে কোনও বিশুদ্ধ হাদিস এবং সাহাবিদের আমল নেই।
➧ নিম্নে আমরা এ বিষয়ে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও গবেষক শাইখ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ. এর একটি গবেষণা ধর্মী মূল্যবান লেখা তুলে ধরছি:
❑ ১. সফর মাসের শেষ বুধবার:
বিভিন্ন জাল হাদিসে বলা হয়েছে, বুধবার অশুভ এবং যে কোনো মাসের শেষ বুধবার সবচেয়ে অশুভ দিন। আর সফর মাস যেহেতু অশুভ, সেহেতু সফর মাসের শেষ বুধবার বছরের সবচেয়ে বেশি অশুভ দিন এবং এ দিনে সবচেয়ে বেশি বালা মুসিবত নাজিল হয়। এ সব ভিত্তিহীন কথাবার্তা অনেক সরলপ্রাণ বুযুর্গ বিশ্বাস করেছেন। যেমন: ‘‘সফর মাসে একলাখ বিশ হাজার ‘বালা’ নাজিল হয় এবং সবদিনের চেয়ে ‘আখেরি চাহার শোম্বা-’তে (সফর মাসে শেষ বুধবার) নাজিল হয় সবচেয়ে বেশি। সুতরাং ঐ দিনে যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত নিয়মে চার রাকাত নামাজ পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা তাকে ঐ বালা থেকে রক্ষা করবেন এবং পরবর্তী বছর পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রাখবেন…।’’[খাজা নিযামুদ্দীন আউলিয়া, রাহাতিল কুলুব, পৃ. ১৩৯।]
এগুলো সবই ভিত্তিহীন কথা। তবে আমাদের দেশে ‘আখেরি চাহার শোম্বা’-র প্রসিদ্ধি এ কারণে নয়, অন্য কারণে।
প্রসিদ্ধ আছে যে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফর মাসের শেষ দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি সফর মাসের শেষ বুধবারে কিছুটা সুস্থ হন এবং গোসল করেন। এরপর তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এ অসুস্থতাতেই তিনি পরের মাসে ইন্তিকাল করেন। এ জন্য মুসলিমগণ এ দিনে তাঁর সর্বশেষ সুস্থতা ও গোসলের স্মৃতি উদযাপন করেন।
এ বিষয়ক প্রচলিত কাহিনীর সার-সংক্ষেপ প্রচলিত একটি পুস্তক থেকে উদ্ধৃত করছি: ‘‘হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়া হইতে বিদায় নিবার পূর্ববর্তী সফর মাসের শেষ সপ্তাহে ভীষণভাবে রোগে আক্রান্ত হইয়া ছিলেন। অতঃপর তিনি এই মাসের শেষ বুধবার দিন সুস্থ হইয়া গোসল করতঃ কিছু খানা খাইয়া মসজিদে নববীতে হাযির হইয়া নামাযের ইমামতী করিয়াছিলেন। ইহাতে উপস্থিত সাহাবিগণ অত্যধিক আনন্দিত হইয়াছিলেন। আর খুশীর কারণে অনেকে অনেক দান খয়রাত করিয়াছিলেন। বর্ণিত আছে, হযরত আবু বকর রা. খুশীতে ৭ সহস্র দীনার এবং হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রা. ৫ সহস্র দীনার, হযরত ওসমান রা. ১০ সহস্র দীনার, হযরত আলি রা. ৩ সহস্র দিনার এবং হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রা. ১০০ উট ও ১০০ ঘোড়া আল্লাহর ওয়াস্তে দান করিয়াছিলেন।
তৎপর হইতে মুসলমানগণ সাহাবিগণের নীতি অনুকরণ ও অনুসরণ করিয়া আসিতেছে। হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই দিনের গোসলই জীবনের শেষ গোসল ছিল। ইহার পর আর তিনি জীবিতকালে গোসল করেন নাই।
তাই সকল মুসলমানের জন্য এই দিবসে ওজু-গোসল করতঃ ইবাদৎ বান্দেগী করা উচিৎ এবং হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করতঃ সাওয়াব রেছানী করা কর্তব্য…।’’[মুফতী হাবীব ছামদানী, বার চান্দের ফযীলত, পৃ. ১৫]
উপরের এ কাহিনীটিই কমবেশি সমাজে প্রচলিত ও বিভিন্ন গ্রন্থে লেখা রয়েছে। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেও কোনো সহিহ বা যয়ীফ হাদিসে এ ঘটনার কোনো প্রকারের উল্লেখ পাই নি। হাদিস তো দূরের কথা কোনো ইতিহাস বা জীবনী গ্রন্থেও আমি এ ঘটনার কোনো উল্লেখ পাই নি। ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়া অন্য কোনো মুসলিম সমাজে ‘সফর মাসের শেষ বুধবার’ পালনের রেওয়াজ বা এ কাহিনী প্রচলিত আছে বলে আমার জানা নেই।
❑ ২. রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সর্বশেষ অসুস্থতা:
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফর বা রবিউল আউয়াল মাসের কত তারিখ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কত তারিখে ইন্তিকাল করেন সে বিষয়ে হাদিস শরিফে কোনোরূপ উল্লেখ বা ইঙ্গিত নেই। অগণিত হাদিসে তাঁর অসুস্থতা, অসুস্থতা কালীন অবস্থা, কর্ম, উপদেশ, তাঁর ইন্তিকাল ইত্যাদির ঘটনা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু কোথাও কোনো ভাবে কোনো দিন-তারিখ বলা হয়নি।
২য় হিজরী শতক থেকে আলিমগণ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবনের ঘটনাবলি ঐতিহাসিক দিন-তারিখ সহকারে সাজাতে চেষ্টা করেন। তাঁর অসুস্থতার শুরু সম্পর্কে অনেক মত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে দ্বিতীয় হিজরী শতকের প্রখ্যাত তাবিয়ী ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক (১৫১ হি/৭৬৮ খৃ) বলেন,
اُبْتُدِئَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِشَكْوَاهُ الَّذِيْ قَبَضَهُ اللهُ فِيْهِ … فِيْ لَيَالٍ بَقِيْنَ مِنْ صَفَرٍ، أَوْ فِيْ أَوَّلِ شَهْرِ رَبِيْعِ الأَوَّلِ.
‘‘রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে অসুস্থতায় ইন্তিকাল করেন, সে অসুস্থতার শুরু হয়েছিল সফর মাসের শেষে কয়েক রাত থাকতে, অথবা রবিউল আউয়াল মাসের শুরু থেকে।’’[ইবনে হিশাম, আস-সীরাহ আন-নববিয়্যাহ ৪/২৮৯।]
কী বার থেকে তাঁর অসুস্থতার শুরু হয়েছিল, সে বিষয়েও মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন শনিবার, কেউ বলেছেন বুধবার এবং কেউ বলেছেন সোমবার তার অসুস্থতার শুরু হয়।[কাসতালানী, আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া ৩/৩৭৩; যারকানী, শারহুল মাওয়াহিব ১২/৮৩]
কয়দিনের অসুস্থতার পরে তিনি ইন্তিকাল করেন, সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, ১০ দিন, কেউ বলেছেন, ১২ দিন, কেউ বলেছেন ১৩ দিন, কেউ বলেছেন, ১৪ দিন অসুস্থ থাকার পরে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তিকাল করেন।[কাসতালানী, আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া ৩/৩৭৩; যারকানী, শারহুল মাওয়াহিব ১২/৮৩]
পরবর্তী আলোচনা থেকে আমরা দেখতে পাব যে, তিনি কোন তারিখে ইন্তিকাল করেছিলেন, সে বিষয়েও মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন ১লা রবিউল আউয়াল, কেউ বলেছেন, ২রা রবিউল আউয়াল এবং কেউ বলেছেন, ১২ই রবিউল আউয়াল তিনি ইন্তিকাল করেন।
সর্বাবস্থায়, কেউ কোনোভাবে বলছেন না যে, অসুস্থতা শুরু হওয়ার পরে মাঝে কোনো দিন তিনি সুস্থ হয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থাতেই, ইন্তিকালের কয়েকদিন আগে তিনি গোসল করেছিলেন বলে সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
বুখারী সংকলিত হাদিসে আয়েশা রা. বলেন,
إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ لَمَّا دَخَلَ بَيْتِي وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ قَالَ هَرِيقُوا عَلَيَّ مِنْ سَبْعِ قِرَبٍ … لَعَلِّي أَعْهَدُ إِلَى النَّاسِ (لَعَلِّى أَسْتَرِيحُ فَأَعْهَدُ إِلَى النَّاسِ) … ثُمَّ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ ، فَصَلَّى لَهُمْ وَخَطَبَهُمْ
‘‘রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন আমার ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর অসুস্থতা বৃদ্ধি পেল, তখন তিনি বললেন, তোমরা আমার উপরে ৭ মশক পানি ঢাল…; যেন আমি আরাম বোধ করে লোকদের নির্দেশনা দিতে পারি। তখন আমরা এভাবে তাঁর দেহে পানি ঢাললাম…। এরপর তিনি মানুষদের কাছে বেরিয়ে যেয়ে তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন এবং তাদেরকে খুতবা প্রদান করলেন বা ওয়াজ করলেন।’’[বুখারী, আস-সহিহ ১/৮৩, ৪/১৬১৪, ৫/২১৬০; হাকিম, আল-মুসতাদরাক ১/২৪৩; ইবনে হিববান, আস-সহিহ ১৪/৫৬৬।]
এখানে সুস্পষ্ট যে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর অসুস্থতার মধ্যেই অসুস্থতা ও জ্বরের প্রকোপ কমানোর জন্য এভাবে গোসল করেন, যেন কিছুটা আরাম বোধ করেন এবং মসজিদে গিয়ে সবাইকে প্রয়োজনীয় নসিহত করতে পারেন।
এ গোসল করার ঘটনাটি কত তারিখে বা কী বারে ঘটেছিল তা হাদিসের কোনো বর্ণনায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নি। তবে আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমের অন্যান্য হাদিসের সাথে এ হাদিসের সমন্বয় করে উল্লেখ করেছেন যে, এ গোসলের ঘটনাটি ঘটেছিল ইন্তিকালের আগের বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ইন্তেকালের ৫ দিন আগে। [ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী ৮/১৪২] ১২ই রবিউল আউয়াল ইন্তিকাল হলে তা ঘটেছিল ৮ই রবিউল আউয়াল।
উপরের আলোচনা থেকে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, সফর মাসের শেষ বুধবারে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুস্থ হওয়া, গোসল করা এবং এজন্য সাহাবিগণের আনন্দিত হওয়া ও দান-সাদকা করার এ সকল কাহিনীর কোনোরূপ ভিত্তি নেই। আল্লাহই ভাল জানেন।
যেহেতু মূল ঘটনাটিই প্রমাণিত নয়, সেহেতু সে ঘটনা উদযাপন করা বা পালন করার প্রশ্ন ওঠে না। এরপরেও আমাদের বুঝতে হবে যে, কোনো আনন্দের বা দুঃখের ঘটনায় আনন্দিত বা দুঃখিত হওয়া এক কথা, আর প্রতি বছর সে দিনে আনন্দ বা দুঃখ প্রকাশ করা বা ‘আনন্দ দিবস’ বা ‘শোক দিবস’ উদযাপন করা সম্পূর্ণ অন্য কথা। উভয়ের মধ্যে আসমান-যমীনের পার্থক্য।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবনে অনেক আনন্দের দিন বা মুহূর্ত এসেছে, যখন তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন, শুকরিয়া জ্ঞাপনের জন্য আল্লাহর দরবারে সেজদা করেছেন। কোনো কোনো ঘটনায় তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবিগণও আনন্দিত হয়েছেন ও বিভিন্নভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু পরের বছর বা পরবর্তী কোনো সময়ে সে দিন বা মুহূর্তকে তারা বাৎসরিক ‘আনন্দ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করেননি। এজন্য রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশ বা সাহাবিদের কর্ম ছাড়া এরূপ কোনো দিন বা মুহুর্ত পালন করা বা এগুলোতে বিশেষ ইবাদত বিশেষ সাওয়াবের কারণ বলে মনে করার সুযোগ নেই।
❑ ৩. আখেরি চাহার শোম্বার নামাজ:
উপরের আলোচনা থেকে আমার জানতে পেরেছি যে, সফর মাসের শেষ বুধবারের কোনো প্রকার বিশেষত্ব হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। এ দিনে কোনোরূপ ইবাদত, সালাত, সিয়াম, জিকির, দুআ, দান, সদকা ইত্যাদি পালন করলে অন্য কোনো দিনের চেযে বেশি বা বিশেষ কোনো সাওয়াব বা বরকত লাভ করা যাবে বলে ধারণা করা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা। এজন্য আল্লামা আব্দুল হাই লাখনবী লিখেছেন যে, সফর মাসের শেষ বুধবারে যে বিশেষ নফল সালাত বিশেষ কিছু সুরা, আয়াত ও দুআ পাঠের মাধ্যমে আদায় করা হয়, তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। [আব্দুল হাই লাখনবী, আল-আসার, পৃ. ১১১]
[সূত্র: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. রচিত হাদিসের নামে জালিয়াতি, বার চাঁদের সালাত ও ফযীলত]
➧ মোটকথা, আখেরি চাহার শোম্বা বা সফর মাসের শেষ বুধবারকে ঘটা করে পালন করার ব্যাপারে হাদিসে কোন নির্দেশনা পাওয়া যায় না। এ দিন বিশেষ কোন নামাজ, রোজা, দান-সদকা, গোসল ইত্যাদি করার ব্যাপারে কোন সহিহ বর্ণনা পাওয়া যায় না। বরং বিভিন্ন বানোয়াট কথার উপরে ভিত্তি করে আমাদের সমাজে এ সকল বিদআত প্রচলিত হয়েছে। আর এ কথা প্রসিদ্ধ যে, প্রতিটি বিদআতই গোমরাহি। আর প্রতিটি গোমরাহির পরিণতি জাহান্নাম। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আল্লাহু আলাম।
আব্দুল্লাহিল হাদি বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।