সফর অবস্থায় রোজা সংক্রান্ত বিধি-বিধান

নিম্নে সংক্ষেপে সফর অবস্থায় রোজার বিধি-বিধান তুলে ধরা হল: ◈ ১. সফরকালে রোজা রাখতে সক্ষম-অক্ষম সবার জন্যই রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ। এব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। আল্লাহ তাআলা সফরে রোজা প্রসঙ্গে বলেন, فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ “অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ অথবা সফরে থাকবে সে অন্য সময় পূরণ … Read more

কেউ রোজা রেখে এমন কোন দেশে সফর করল যেখানে রমজান বিলম্বে শুরু হয়েছে এ ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তিকে কি ৩১ দিন রোজা রাখতে হবে?

প্রশ্ন: যদি আমি এক দেশে রোজা পালন শুরু করে রমজান মাসের মধ্যে অন্য কোন দেশে ভ্রমণ করি যেখানে রমজান একদিন পরে শুরু হয়েছে, মাসের শেষ দিকে সে দেশবাসী যখন ৩০ তম রোজা পালন করছে তখন কি আমি তাদের সাথে রোজা রাখব; এতে তো আমার ৩১টি রোজা পালন হবে? উত্তর: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যদি কোন … Read more

এদের উপর কি রোজা পালন ওয়াজিব এবং রোজার কাযা করা অপরিহার্য?

প্রশ্ন: যে শিশু বালেগ হওয়ার আগে থেকে রমজানের রোজা পালন করত। রমজান মাসের দিনের বেলায় সে বালেগ হল। তাকে কি সেই দিনের রোজা কাযা করতে হবে? একইভাবে রমজান মাসে দিনের বেলা যে কাফের ইসলাম গ্রহণ করল, যে নারী হায়েয থেকে পবিত্র হল, যে পাগল জ্ঞান ফিরে পেল, যে মুসাফির রোজা না-রাখা অবস্থায় স্বগৃহে ফিরে আসল, … Read more

যে সব ওজর বা অজুহাতের কারণে রমযানের রোযা না-রাখা বৈধ

প্রশ্ন: রমযানের রোযা না-রাখাকে বৈধকারী অজুহাতগুলো কি কি? উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌ তাআলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য সহজীকরণ হচ্ছে, তিনি শুধুমাত্র তাদের উপর রোযা রাখা ফরয করেছেন যাদের রোযা রাখার সক্ষমতা আছে এবং শরিয়ত অনুমোদিত ওজরের ভিত্তিতে রোযা না-রাখাকেও বৈধ করেছেন। যেসব শরয়ি ওজরের কারণে রোযা না-রাখা বৈধ সেগুলো হচ্ছে: এক: রোগ: রোগ মানে হচ্ছে, … Read more

রোযা ভঙ্গ করা ও সালাত ক্বসর (সংক্ষিপ্ত) করা বৈধকারী সফরের সর্বনিম্ন সীমা কতটুকু?

প্রশ্ন : রোযা না-রাখাকে বৈধকারী সফরের সর্বনিম্ন সীমা কতটুকু? উত্তর : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। অধিকাংশ আলেম এই মত দিয়েছেন যে ৪৮ মাইল দূরত্বে সফর করলে সালাত সংক্ষিপ্ত করা ও রোযা ভঙ্গ করা বৈধ। ইবনে ক্বুদামা ‘আল-মুগনী’ গ্রন্থে বলেছেন : “আবু আব্দুল্লাহ (অর্থাৎ ইমাম আহমাদ) এর মত হল ১৬ ফারসাখ এর কম দূরত্বে ক্বসর (সালাত … Read more

বিমানে চাকুরিজীবিগণ কিভাবে রোযা পালন করবে

প্রশ্ন : আমি বিমান একজন ক্রু। রমজান মাসে পশ্চিমের দুটো দেশের মধ্যে সফরকালে কিভাবে রোযা পালন করব যে ক্ষেত্রে ভ্রমণ দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যেহেতু আপনি বিমান ক্রু সেহেতু আপনি মুসাফির। সকল আলেম এ ব্যাপারে ইজমা (ঐক্যমত্য) পোষণ করেছেন যে, মুসাফিরের জন্য রমজান মাসে রোযা ভঙ্গ করা জায়েয; তার জন্য সিয়াম … Read more

যিনি পরদিন সফর করবেন বিধায় রোযা না-রাখার নিয়ত করেছেন; কিন্তু পরে সফরে যাওয়া হয়নি

প্রশ্ন : এক ব্যক্তি সফরে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প করে রোযা না-রাখার নিয়ত করেছেন। ফজর হওয়ার পর তিনি তার সফর বাতিল করেছেন; কিন্তু রোযা ভঙ্গকারী কোন বিষয়ে লিপ্ত হননি। এক্ষেত্রে তার হুকুম কি? উত্তর : সমস্ত  প্রশংসা আল্লাহর জন্য। ক্বুরআন, সুন্নাহ ও ইজমা এর দলীল দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, একজন মুসাফির রমজানে রোযা ভঙ্গ করতে পারে। … Read more

( ليس من البر الصوم في السفر) হাদিসের অর্থ

প্রশ্ন: আমি জেনেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ( ليس من البر الصوم في السفر) অর্থ- “সফর অবস্থায় রোজা রাখা নেকীর কাজ নয়”। এর মানে কি মুসাফির ব্যক্তি রোজা রাখলে সে রোজা সহিহ হবে না? উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ। এক: ইতোপূর্বে 20165 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সফর অবস্থায় রোজা রাখার তিনটি অবস্থা: ১. যদি রোজা … Read more

রমযান মাসে কোন মুসলিম যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়

প্রশ্ন: যদি কোন মুসলিম রমযান মাসে এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়; যে দেশদুটি ভিন্ন ভিন্ন দিনে রোযা রাখা শুরু করেছে সে ক্ষেত্রে তিনি কি করবেন? আলহামদুলিল্লাহ। কোন মুসলিম যদি কোন এলাকাবাসীকে রোযা অবস্থায় পান তাহলে তার উপর তাদের সাথে রোযা রাখা ফরয। কেননা এক্ষেত্রে আগন্তুক ব্যক্তির বিধান স্থানীয়দের অনুরূপ। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি … Read more

মুসাফিরের জন্য কখন রোযা ভঙ্গ করা হারাম

প্রশ্ন: মুসাফিরের জন্য কখন রোযা ভঙ্গ করা হারাম? কারণসহ। উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। কুরআন-সুন্নাহ ও ইজমার দলিল প্রমাণ করছে যে, মুসাফিরের জন্য রমযানের দিনের বেলায় রোযা না-রাখা জায়েয। আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন, “আর কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে।”[সূরা বাক্বারা, ২ : ১৮৫] আরও জানতে দেখুন 37717 নং প্রশ্নোত্তর। ফিকাহবিদগণ উল্লেখ করেছেন যে, ঐ মুসাফিরের জন্য রোযা না-রাখা বৈধ … Read more

জনৈক ব্যক্তি যেই দিন দেশে ফেরার নিয়ত করেছে সেই দিন রোযা রাখেনি

আমি আমার শহর থেকে এশার পর সফর করেছি। সেই দিনই আমার ফেরাটা অপরিহার্য ছিল। যেহেতু আমি প্রায় ফজরের পর পৌঁছেছি। আমি যাদের কাছে অবস্থান করছিলাম তাদেরকে বলেছি, তারা যেন আমাকে যোহরের সময় জাগিয়ে দেয়; যাতে আমি আমার পরিবারের উদ্দেশ্যে সফর করতে পারি। আমি জেগে উঠে যোহরের নামায পড়লাম। তারা আমাকে দুপুরের খাবার দিল, আমি খেয়ে … Read more